পেশায় তিনি সার ও কীটনাশক ব্যবসায়ী। তবে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেই গড়ে তুলেছেন আট হাজারের বেশি বইয়ের বিশাল পাঠাগার।
ছাত্র জীবনে বই পড়ার নেশাকে রূপ দিয়েছেন পাঠাগারে। শখের বসে গড়ে তোলা সেই পাঠাগার এখন জ্ঞানের আলো ছড়াচ্ছে এলাকায়।
দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলা সদরের গোলাপগঞ্জ বাজার। রাস্তার পাশে দোকান, বিক্রি হয় কীটনাশক-সার।
বাইরে থেকে সাদামাটা এই দোকানের ভেতর জুড়ে দেখা মেলে হাজারো বইয়ের সমাহার। চারিদিকে শুধু বই আর বই।
ব্যবসার ফাঁকে অবসরে বই পড়েন দোকানের মালিক বিজয় কুমার পাল। সংগ্রহে রয়েছে প্রায় আট হাজার বই।
বেশির ভাগ সময় দোকানেই থাকতে হয়, তাই দোকানের আলাদা একটি কক্ষে গড়ে তুলেছেন ব্যক্তিগত পাঠাগার।
দোকানের দেয়ালে তাকে সাজানো আছে কবিতা, গল্প, উপন্যাস, থ্রিলার কাহিনী, ইতিহাসসহ নানান বই। রয়েছে দেশি বিদেশি জনপ্রিয় লেখকের বইও।
দোকানে সার ও কীটনাশক কিনতে এসে বইয়ের এমন সমাহার দেখে অবাক হন ক্রেতারা। অনেকেই আসেন তার এই পাঠাগারে বই পড়তে।
ব্যক্তি পর্যায়ে এমন পাঠাগার গড়ে তোলার বিষয়টিকে সাধুবাদ জানিয়েছেন উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তা শফিউল আলম।
নিজের বাড়িতে বিশাল একটি পাঠাগার তৈরি করে বই পড়েই জীবন কাটাতে চান এই ব্যবসায়ী।
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.