মৌলভীবাজারের দুটি জেলার ৫টি ইউনিয়ন নিয়ে হাইল হাওয়ের অবস্থান। তবে হাওরের সিংহ ভাগ এলাকা পড়েছে জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলায়। শুধু মাছ নয় এই হাওরে বিভিন্ন সময়ে দেখা মিলেছে বিলুপ্ত নানা প্রজাতির পাখি ও জলজ উদ্ভিদের। বিশেষ করে হাওরের বাইক্কা বিল ও হাওর এলাকাতে শীত মৌসুমে দেশীয় পাখিদের পাশাপাশি অতিথি পাখিদের আনাগোনা চোখে পড়ার মতো।
সম্প্রতি এই জলময়ুরীর দেখা পেয়েছেন জেলার অন্যতম সৌখিন আলোকচিত্রী ও পরিবেশকর্মী খোকন থৌনাউজাম। তিনি পাখিটির সন্ধান প্রসঙ্গে একাত্তরকে জানান, হাইল হাওরে প্রায় ঘন্টাখানেক অপেক্ষার পর পদ্মপাতার আড়াল থেকে বের হয়ে এলো একটি জলময়ুরীর ছানা। জলময়ুরীর বৈশিষ্ট্য হচ্ছে মা প্রজাতি ডিম দেয় আর ডিম ফোটানো থেকে বাচ্চা লালন পালন সব কিছু করে জল ময়ুরের বাবা প্রজাতি।
এদিকে জলময়ুরীর প্রসঙ্গে শ্রীমঙ্গল বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সিতেশ রঞ্জন দেব একাত্তরকে জানান, ভাসমান পাতার ওপর হেঁটে হেঁটে জলজ উদ্ভিদ থেকে পোকা ও অমেরুদণ্ডী প্রাণী ভক্ষণ করে জলময়ুরী। তাছাড়া জলজ উদ্ভিদের কচি পাতা, অঙ্কুর ও বীজ খেয়ে থাকে এরা। জলময়ূর হাওর, বিল, হ্রদ ও মিঠাপানির জলাভূমিতে বসবাস এদের।
বর্তমানে জলময়ুরী অনেকটাই বিরল ও সংকটাপন্ন। পাখিটির দেহের দৈর্ঘ্য ৩৯ থেকে ৫৮ সেন্টিমিটার। পুরুষ পাখির ওজন ১১৩ থেকে ১৩৫ গ্রাম। স্ত্রী প্রজাতির ওজন ২০৫ থেকে ২৬০ গ্রাম হয়। ১৮ থেকে ২০ দিনে ডিম ফুটে বাচ্চার জন্ম হয়।
তবে, বিলে রাতের আঁধারে প্রচুর পাখি শিকার হয়। এতে করে দিনদিন কমছে এই অঞ্চলে পাখির সংখ্যা। আর যেসব সংকটাপন্ন প্রজাতির পাখি টিকে আছে তাদের মাঝে জলময়ুরীর দেখা খুব একটা পাওয়া যায়না।
একাত্তর/ এনএ
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.