গোপালগঞ্জ ও মানিকগঞ্জের পর এবার করোনা আক্রান্ত হলো ঠাকুরগাঁও সরকারি শিশু পরিবারের ১৩ জন শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে পাঁচ শিক্ষার্থী সদরের বাহাদুরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী হওয়ায় ওই স্কুলের চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির ক্লাস বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
যদিও অভিভাবকরা বলছেন, স্বাস্থ্যবিধি আরো কঠোর করে হলেও স্কুল খোলা থাক, শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা সচল থাকুক।
দেড় বছর বন্ধের পর ১২ সেপ্টেম্বর থেকে সারাদেশের অন্যান্য স্কুলের মত খুলেছে ঠাকুরগাঁওয়ের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শ্রেণিকক্ষে ফিরে এসেছে আগের সেই প্রাণ চাঞ্চল্য।
কিন্তু বৃহস্পতিবার সরকারি শিশু পরিবারের ১৩ জন সদস্য করোনা আক্রান্ত হওয়ায় অনেকটা দ্বিধার মধ্যে পড়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষ।
সরকারি শিশু পরিবারের তত্ত্বাবধায়ক রিক্তা বানু বলছেন, করোনা উপসর্গ থাকায় গত সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত শিশু পরিবারের ২৫ জন ছাত্রীর নমুনা পরীক্ষা করাহয়।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার এদের মধ্য থেকে ১৩ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস নিশ্চিত হয়। যা রীতিমতো উদ্বেগ তৈরি করেছে সবার মধ্যে।
এদিকে আক্রান্ত ১৩ জনের মধ্যে পাঁচ জনই সদরের বাহাদুরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী। আর তাই শিক্ষার্থীদের আক্রান্তের খবরে এরই মধ্যে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির ক্লাস বন্ধ করা হয়েছে বলে জানালেন স্কুলটির প্রধান শিক্ষক ফারহানা পারভীন।
তবে, আক্রন্তের বিষয়ে শংকিত নন সেখানকার বেশিরভাগ অভিভাবক। তাদের মত, স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্কুল চলুক। প্রয়োজনে আরো কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ করেও ক্লাস চলুক।
আক্রান্ত সবাইকে হোম আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে এবং প্রত্যেকে বিপদমুক্ত আছে বলে নিশ্চিত করে কর্তৃপক্ষ।
একাত্তর/এসএ
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.