দেশে সংক্রমণের ৫৬৫ তম দিনে করোনায় আরও ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার চার দশমিক ৫৪ শতাংশ। গত কয়েকদিন ধরে করোনা শনাক্তের হার নিন্মমুখী।
২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ১ হাজার ২৩৩ জন। এখনও পর্যন্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৫ লাখ ৪৯ হাজার ৫৫৩ জন।
শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, নতুন মৃত্যু নিয়ে দেশে করোনায় মোট মৃত্যু হয়েছে ২৭ হাজার ৩৬৮ জনের।
২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৪১৩ জন। এখনও পর্যন্ত ভাইরাসের সাথে লড়াই করে সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৯ হাজার ২০২ জন।
দেশে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১২ হাজার ৯৮৩ জন।
করোনার শুরু থেকে এখনও পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ১৮ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৪০ শতাংশ এবং মৃত্যুহার এক দশমিক ৭৭ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ৩১ জনের মধ্যে পুরুষ ১৮ জন আর নারী ১৩ জন।দেশে এখন পর্যন্ত করোনায় মোট পুরুষ মারা গেলেন ১৭ হাজার ৫৮৪ জন এবং নারী ৯ হাজার ৭৮৪ জন।
মারা যাওয়াদের বয়স বিবেচনায় ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে রয়েছেন একজন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে তিন জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে পাঁচ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ৯ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ছয় জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে চার জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে একজন এবং ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে দুই জন।
মৃত ৩১ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের আছেন ১৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের আট জন, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের দুই জন করে এবং খুলনা, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের একজন করে।
তবে বরিশাল বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় কেউ মারা যাননি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানাচ্ছে, ৩১ জনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ২৬ জন এবং বেসরকারি হাসপাতালে পাঁচ জন।
আরও পড়ুন: স্কুলে চোখ রাঙাচ্ছে করোনা, শঙ্কিত নন অভিভাবকরা
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ২৭ হাজার ৫৫৭টি, আর নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৭ হাজার ১৪১টি। দেশে এখন পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৯৫ লাখ ৭৯ হাজার ১১১টি। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা করা হয়েছে ৭০ লাখ ৬৫ হাজার ৫০৯টি এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ২৫ লাখ ১৩ হাজার ৬০২টি।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গতবছর ৮ মার্চ; তা আট লাখ পেরিয়ে যায় এ বছর ৩১ মে। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে গত ৭ এপ্রিল রেকর্ড ৭ হাজার ৬২৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। এরপর আগের সব রেকর্ড ভেঙে ৬ জুলাই ১১ হাজার ৫২৫ জনের করোনার ধরা পড়ে।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ১১ মে তা ১২ হাজার ছাড়িয়ে যায়।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান করা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডও-মিটারের আজ বিকেলের তথ্য অনুযায়ী বিশ্বে করোনায় এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৪৭ লাখ ৪৪ হাজার ৬১৮ জনের। সুস্থ হয়েছেন ২০ কোটি ৮১ লাখ ৮৩ হাজার ৮৬৯ জন। চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১ কোটি ৮৫ লাখ ৬৯ হাজার ৪৩৭ জন। ভাইরাসে মোট সংক্রমিত হয়েছেন ২৩ কোটি ১৪ লাখ ৯৭ হাজার ৯২৪ জন।
একাত্তর/আরএ
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.