বাংলা নববর্ষে পূজা-পার্বণ এবং ধর্মীয় রীতি ও আচার মেনে অনুষ্ঠিত হলো হালখাতা। পুরনো হিসেব চুকিয়ে, দেনাদারকে মিষ্টিমুখ করিয়ে, নতুন খাতা খুললেন পাওয়াদাররা। ব্যবসায়ীরা জানান শত বছরের ঐতিহ্য অনুযায়ী হালখাতার দিনে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত পাওনা টাকা হাতে পান তারা।
সম্রাট আকবর থেকে শেখ হাসিনা। ১৬০৫ থেকে ২০২৪। মাঝে পদ্মা, মেঘনা, যমুনা ও বুড়িগঙ্গার জলও গড়িয়েছে অনেক! এনালগ থেকে ডিজিটাল হয়েছে দেশ। কিন্তু এখনও জৌলুস হারায়নি হালখাতা উৎসবের।
পুরান ঢাকার তাঁতীবাজার, শাখারী বাজার ও লক্ষ্মীবাজারে ঢাক-কাসর বাজিয়ে ফুল-চন্দন-বেল পাতায় গণেশ পূজার মাধ্যমে হালখাতা উৎসবের শুভ সূচনা করেন ব্যবসায়ীরা।
হালখাতা অর্থাৎ নতুন খাতা খুলে পুরনো হিসেব চুকিয়ে দেন ব্যবসায়ীরা। দেনাদাররা আসলে তাদেরকে মিষ্টিমুখ করিয়ে কিছু উপহারও দিয়ে দেন এই দিনে।
ব্যবসায়ীরা বললেন, হালখাতার দিনে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বাকি পাওনা পেয়ে থাকেন তারা।
বিভিন্ন ব্যাংক-বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডও হালখাতার আয়োজন করে পয়লা বৈশাখে।