মাদকের টাকা ভাগাভাগিসহ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই খুন হয় পল্লবীর পাভেল। হত্যার পর তার মরদেহ ডোবায় ফেলে দেয়া হয়। গেলো এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত কিশোর গ্যাংয়ের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। এসময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলসহ বেশ কিছু আলামত উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তাররা হলেন- রায়হান বাবু (২৪), সোহেল তোতা মামা (২৪) ও বাচ্চু কাজল বাচ্চু (২৩)।
বুধবার গোয়েন্দা মিরপুর বিভাগের পল্লবী জোনের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) মো. রাশেদ হাসানের নেতৃত্বে একটি দল টাঙ্গাইল, বরগুনা ও বরিশাল মহানগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
এর আগে এই ঘটনায় আরও পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পল্লবী থানা পুলিশ। এ নিয়ে মোট আট জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে হত্যাকাণ্ডে জড়িত তাজমুল ও হানিফ নামে আরও দুই জনকে খুঁজছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহত পাভেলের বাড়ি নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলায়। ঘটনার পরদিন তার মা ছয় জনকে আসামি করে পল্লবী থানায় হত্যা মামলা করেন। তারা হলো- হাবিব, হানিফ, আনিছ, রায়হান নানু, মিলন ও জনি। বাকি আরো পাঁচ-ছয় জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ জানান, দীর্ঘ দিনের দুই ঘনিষ্ঠ বন্ধু পাভেল ও হাবিব মিলে পল্লবীতে গড়ে তোলে মাদক বিক্রির সিন্ডিকেট। সম্প্রতি সেই মাদকের টাকার ভাগাভাগি নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় পাভেল জেলে গেলেও ক্ষোভ মেটেনি হাবিবের। ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখের রাতে পাভেলকে পল্লবীব ১২ নম্বরে স্বপ্ননগর আবাসিক এলাকার পেছনে ডেকে নেয় হাবিবের পাঁচ থেকে ছয় জন সঙ্গী। পরে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে কুপিয়ে পালিয়ে যায়।