গেল ১৮ থেকে ২০ জুলাই ভয়াবহ সময় পার করেছে মোহাম্মদপুরের বাসিন্দারা। গাড়ি পোড়ানো, সরকারি স্থাপনা, বাড়িঘর থেকে শুরু করে রাস্তায় চলাচলকারী মানুষের উপরেও হামলা করেছে দুর্বৃত্তরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, হামলাকারীদের অধিকাংশই ঢাকার বাইরে থেকে এসেছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলছেন, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে এদের আইনের আওতায় আনা হবে।
কারো মুখে মাস্ক, আবার কারো মাথায় হেলমেট। যাদের অধিকাংশেরই বয়স ১৫ থেকে ৩০ এর মধ্যে। কেউ কেউ আবার মুখে ক্রিম ব্যবহার করেছে টিয়ারশেল থেকে রক্ষার জন্য। এরপরই ইট পাটকেল নিয়ে আর লাঠি নিয়ে হামলা করছে বাড়িঘরে। এ চিত্র রাজধানীর মোহাম্মদপুরের।
১৮ জুলাই বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে এ তাণ্ডব চলে মোহাম্মদপুরের বাসস্ট্যান্ড থেকে বসিলার তিন সড়ক পর্যন্ত। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, মূল সড়ক থেকে প্রতিটি গলিতে ভাংচুরের পাশাপাশি গড়ি পুড়িয়ে দেয় হামলাকারীরা।
শুক্রবার বিকেলের দিকে হামলা হয়, মোহাম্মদপুর সিটি কর্পোরেশনের অফিসে। গাড়ি, মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়ার পর, আগুন ধরিয়ে দেয়া হয় মশক নিধনযন্ত্রে। প্রত্যক্ষদর্শী সিটি কর্পোরেশনের রোড ইন্সপেক্টর মোহাম্মাদ হারুন বলেন, কয়েকশ যুবক অতর্কিত হামলা করে, আগুন ধরিয়ে দেয়। যাদের কাউকেই এর আগে এই এলাকায় দেখা যায়নি।
স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক জানান, হামলাকারীদের উদ্দেশ্য ছিল সংসদ ভবনের অভিমুখে যাওয়ার। কিন্তু মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতিরোধের মুখে ফিরে যায় দুর্বৃত্তরা।
তবে তিনদিন ধরে থেমে চলা এমন সংঘর্ষের পর এখনো আতংকে মোহাম্মদপুরের বাসিন্দারা।