স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও নীতিনির্ধারকরা বলেছেন, সুস্থ মা ও সুস্থ পরিবার পারে একটি সুস্থ জাতি উপহার দিতে। এসডিজির মাতৃস্বাস্থ্য লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ‘সুস্থ মা ও সুস্থ পরিবার’ গড়ে তোলার কোনো বিকল্প নেই।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘সুস্থ মা, সুস্থ পরিবার’ প্রকল্পের গবেষণা ফলাফল তুলে তারা এসব কথা বলেন।
প্রকল্পটি ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সেস ফর হেলথ, ব্র্যাক, স্কোপ এবং পপুলেশন কাউন্সিলের সঙ্গে অংশীদারিতে পরিচালিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর ডা. এসএম আবদুল্লাহ আল মুরাদ। প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অ্যাডিশনাল ড্রাইরেক্টর জেনারেল-প্লানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের প্রফেসর ডা. শেখ সায়েদুল হক। গবেষণা পত্র উপস্থাপন করেন ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সেস ফর হেলথ প্রকল্প পরিচালক ডা. ফারজানা ইসলাম।
প্রকল্প পরিচালক ডা. ফারজানা ইসলাম প্রকল্প গবেষণা ফলাফল উপস্থাপনায় বলেন, প্রথমবার মা হওয়া অল্প বয়সী নারীদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এই প্রকল্পটি পরীক্ষা করেছে কীভাবে গ্রুপ সেশন সেবা গ্রহণের হার, স্বাস্থ্য বিষয়ক জ্ঞান ও আত্মবিশ্বাস বাড়াতে পারে।
গবেষণার বারত দিয়ে বাংলাদেশে গ্রুপ কেয়ার মডেলটি বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিগত চার বছর ধরে বাস্তবায়িত এই প্রকল্পটি গর্ভকালীন ও প্রসব-পরবর্তী সেবায় গ্রুপ কেয়ার মডেলটি বিদ্যমান মাতৃ স্বাস্থ্য সেবার সঙ্গে সংযুক্ত করার সম্ভাব্যতা যাচাই করেছে।
তিনি জানান, এতে দেখা গেছে টঙ্গী এলাকার অনগ্রসর শহরে প্রথমবার মা হওয়া অল্প বয়সী নারী এবং তাদের পুরুষ সঙ্গীদের জন্য মার্তৃ ও নবজাতকের স্বাস্থ্য এবং পরিবার পরিকল্পনা সেবা গ্রহণের হার এবং সেবার মান উন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এই গ্রুপ কেয়ার মডেলটি স্থিতিশীল এবং সম্প্রসারণ করতে সরকারি প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি বিনিয়োগ ও আর গবেষণা দরকার।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রফেসর ডা. শেখ সায়েদুল হক বলেন, সুবিধা বঞ্চিত মায়েদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার মাধ্যমে এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব। যেটা বিদ্যমান প্রকল্পের ফলাফলে প্রকাশ পেয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সুস্থ মা ও সুস্থ পরিবার প্রকল্পটি জাতীয় পর্যায়ে সরকারি খাতে ও গ্রামীণ পর্যায়ে রোল মডেল হিসেবে গ্রহণ করা দরকার।
অনুষ্ঠানটি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয় তথা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর, এমএসএইচ-এর যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সরকারি প্রতিনিধি, পেশাদার সংগঠন, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা, জাতিসংঘের সহযোগী সংস্থা এবং আর্ন্তজাতিক ও জাতীয় পর্যায়ে এনজিও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।