মাগুরায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে এসে তাওইয়ের (বোনের শ্বশুর) ধর্ষণের শিকার হয়েছে আট বছরের একটি শিশু। দুই দফা হাসপাতাল বদলের পর শিশুটি এখন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে এখনও জ্ঞান ফেরেনি।
ঢামেক সূত্র জানিয়েছে, শিশুটির চিকিৎসায় চার সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি তার চিকিৎসার সব ব্যয় বহন করবে ঢামেক।
ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, ধর্ষণের শিকার শিশুটির শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ। তার জিসিএসের মাত্রা চারে নেমে এসেছে। শারীরিক অবস্থা অতি সঙ্কটাপন্ন, এখনও জ্ঞান ফেরেনি।
তিনি জানান, হত্যার চেষ্টার সময় শিশুটি গলাতে যে আঘাত পেয়েছে সেটার জন্য নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছে। শরীরে জ্বর আছে এবং নিউমোনিয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
শিশুটির মৃত্যু নিয়ে কাউকে গুজব না ছড়ানোর অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, সবাই তার জন্য দোয়া করুন।
এদিকে শিশুটির মামা জানিয়েছেন, শুক্রবার রাতে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। এখনও সেখানেই আছে। তবে অবস্থা আশঙ্কাজনক।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) মাগুরা জেলা সদরের নান্দুয়ালী মাঠপাড়ায় বোনের শ্বশুরের ধর্ষণের শিকার হয় তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী শিশুটি। নির্যাতনের পর শিশুটিকে উদ্ধার করে প্রথম জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর সেখান থেকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও পরে ঢামেকে নেওয়া হয়।