১৪ ছাত্রের চুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষক ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হলেও আন্দোলন জারি রেখেছে শিক্ষার্থীরা। আমরণ অনশন থেকে সরে আসলেও ওই শিক্ষককে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে তারা।
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর পৌর এলাকার কান্দাপাড়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী প্রশাসনিক কার্যালয়ের ফটকের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের একমাত্র দাবি তার স্থায়ী বহিষ্কার যা আমরা এখনও পাইনি। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে এমন আশ্বাস দেয়া হয়েছে। তাকে স্থায়ীভাবে অপসারণ না করা পর্যন্ত এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
সিসিটিভি ফুটেজে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় গত বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় ফারহানা ইয়াসমিনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। তদন্ত সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলেও সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে শিক্ষকদের অনুরোধে আমরণ অনশন কর্মসূচি স্থগিত করে শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: বিজ্ঞাপনসহ বিদেশি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য আব্দুল লতিফ জানান, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর তাকে চূড়ান্তভাবে বরখাস্ত করা হবে কিনা সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি দল আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে অনশনরতদের অনশন ভেঙেছেন।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস সংস্কৃতি ও বাংলাদেশ স্টাডিজ বিভাগের ১৪ জন শিক্ষার্থীর মাথার চুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় রাতে বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র নাজমুল হোসেন তুহিন (২৫) ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাতে অভিযুক্ত শিক্ষক ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন দায়িত্বে থাকা তিনটি পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
একাত্তর/টিএ