রাঙ্গামাটির পাহাড়ে জুমের সোনালী পাকা ধানে ছেয়ে গেছে পাহাড়। শুরু হয়েছে ধান কাটা। পাকা ধানের ফসল বাড়িতে তোলার কাজে ব্যস্ত জুমিয়া পরিবারগুলো।
ধানের ফলন ভালো হওয়ায় এবার কমপক্ষে ছয় মাসের চালের জোগান হবে বলছেন চাষীরা। এ কারণে তাদের চোখে মুখে এখন হাসি আর আনন্দ।
জুমের ফসল যুগ যুগ ধরে পাহাড়িদের জীবন ধারণের একমাত্র অবলম্বন। এখনও জুম ফসল হিসেবে ফলছে ধানের পাশাপাশি সবজি, মশলা ও ফলবীজ চাষ হয়।
বর্তমানে পাহাড়ে সবুজের মাঝে উঁকি দিচ্ছে পাকা ধান। রাঙ্গামাটির পাহাড়ি জনপদগুলোতে শিশু-কিশোরসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষ ধান কাটতে নেমেছে ক্ষেতে।
চাষীরা বলছেন, জুমে এবার ফলন ভালো হয়েছে। পাকা ধান আর জুমের ফসল ঘরে তোলার পর পাহাড়িদের ঘরে ঘরে এখন চলছে নবান্ন উৎসব।
কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, জুমিয়ারা পাহাড়ে ধানের পাশাপাশি ভুট্টা, মরিচ, যব, সরিষা, মিষ্টি কুমড়া, ফুলসহ বিভিন্ন রকমের সবজি উৎপাদন করেছে
তারা জানান, তিন পার্বত্য জেলার পাহাড়ে এবার জুমে বাম্পার ফলন হয়েছে। থেমে থেমে বৃষ্টি আর অনুকূল আবহাওয়ার কারণে এবার জুমের আবাদ ও ফলন ভাল হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে দুর্গাপূজার আয়োজনে করোনার প্রভাব
পার্বত্য অঞ্চলের পাহাড়ে পাকা সোনালী ধান জুমিয়াদের এনে দিয়েছে পারিবারিক স্বাচ্ছন্দ্য। ঘরে ঘরে এখন খুশির বন্যা। রাঙ্গামাটিতে এ বছর ৬ হাজার ৬০ হেক্টর পাহাড়ে জুম চাষ করা হয়েছে।
একাত্তর/আরএ