কৃষি সমৃদ্ধ মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় সবজি চাষে কৃষকরা লাভবান হলেও এবার ফলন বিপর্যয় ঘটেছে বাঁধাকপিতে। বীজ ব্যবসায়ীরা নিম্ন মানের বীজ সরবরাহ করায় প্রায় দেড়শ হেক্টর জমির কপির পাতা বাঁধেনি। এতে কমপক্ষে কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবী করেছেন কৃষকরা। কৃষি অফিস বলছে, বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শীতের আগাম সবজি হিসেবে এ অঞ্চলে সাড়ে ৪০০ হেক্টর জমিতে ফুলকপি ও বাঁধাকপির চাষ করা হয়। নিয়ম অনুযায়ি ৬০ থেকে ৬৫ দিনের মধ্যে কপিতে পাতা বাধার কথা। অথচ জেবিটি সীড্স-এর রাজাসান কপির বীজ কিনে চাষিরা বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
শুক্রবার (৮ অক্টোবর) চাষিরা জানান, স্থানীয় বাজার থেকে জেবিটি সীড্স এর সরবরাহকৃত রাজাসান বীজ ব্যবহার করা হয়। বীজ থেকে গাছ জন্মালেও এখন পাতা বাধছে না। অন্যান্য কোম্পানীর দেওয়া বীজ রোপন করে তারা বাঁধাকপি বাজারে তুলেছেন অথচ জেবিটি কোম্পানীর রাজাসান কপিতে আজও পাতা বাধেনি।
একেকটি গাছের ৩/৪ টি ডগা গজিয়েছে মাত্র। আবার অনেকটা পাতা কোকড়ানো। সার বীজ দিয়েও কোনো লাভ হচ্ছে না। বিঘাপ্রতি ৫০ থেকে ৫৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে এ কপি চাষে। অন্তত দেড়শ চাষি এ প্রতারণার স্বীকার।
স্থানীয় বীজ ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম জানান, তিনি মেহেরপুরের আল্লাহর দান বীজ ভান্ডারের মালিক দয়াল রানার কাছ থেকে জেবিটি সীড্স এর বীজ কৃষকদেরকে সরবরাহ করেন। এ বীজ অনেক উন্নত মানের দাবি করে চাষিদের মাঝে বিক্রির জন্য উদ্বুদ্ধ করেন। কিন্তু এখন ফলন বিপর্যয় ঘটেছে।
আরও পড়ুন: পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে ঐতিহাসিক 'সুর' মসজিদ
বীজ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানটি চাষিদের সাথে প্রতারণা করেছেন বলেও তিনি দাবি করেন। তবে মুল পরিবেশক দয়াল রানার সাথে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
গাংনী উপজেলা কৃষি অফিসার লাভলী খাতুন জানান, ইতোমধ্যে বিষয়টি জেনেছেন এবং তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন।
একাত্তর/আরবিএস