চলতি বছরের মে মাসে বাংলাবাজার ঘাটে নোঙর করে রাখা একটি বাল্কহেডের সাথে ধাক্কা লেগে একটি স্পিডবোটের ২৬ যাত্রীর মৃত্যু হয়। ওই ঘটনার পর থেকেই বন্ধ হয়ে যায় বাংলাবাজার-শিমুলিয়া রুটে স্পিডবোট চলাচল। দীর্ঘ ১৫৬ দিন পর বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) বিকেল থেকে সীমিত আকারে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে চালু হয় স্পিডবোট সেবা।
শুক্রবার (৮ আক্টোবর) থেকে এই রুটে পুরোপুরি স্পিডবোড চালু করে সংশ্লিষ্ট মালিক সমিতি। তবে চলাচলের ক্ষেত্রে এবার প্রশাসনের কঠোর নির্দেশনাসহ নিয়মকানুন মেনে বোট চালাতে হচ্ছে মালিক ও চালকদের।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত দুইমাস ধরেই স্পিডবোট চালুর প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করেছে স্পিডবোট মালিক সমিতি। ইতিমধ্যেই অনিবন্ধিত স্পিডবোটের নিবন্ধন দিয়েছে কর্তৃপক্ষ এবং চালকদের পরীক্ষাও নিয়েছে। উত্তীর্ণরা চালকেরাই নৌরুটে স্পিডবোট চালানোর অনুমিত পাচ্ছে।
বাংলাবাজার স্পিডবোট মালিক সমিতির সুপার ভাইজার আনিসুর রহমান রিপন জানান, বাংলাবাজার ঘাটের ৪৮টি স্পিডবোট রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে। এদের মধ্যে চলাচলের জন্য ২৯টি বোট অনুমোদন পেয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে সীমিত আকারে চালু হলেও মূলত শুক্রবার থেকেই পুরোপুরি চালু করা হয় বলে জানিয়েছেন স্পিডবোড মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ দেলোয়ার হোসেন হাওলাদার।
বাংলাবাজার ঘাটের ৫৬ জন স্পিডবোট চালক বোট চালানোর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সনদ পেয়েছেন।
বাংলাবাজার স্পিডবোট মালিক সমিতি সূত্র জানিয়েছে, গত ১৯ আগষ্ট সদরঘাটের প্রকৌশলী ও জাহাজ জরিপ কার্যালয়ের আয়োজনে শিমুলিয়াতে স্পিডবোট চালকদের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। লিখিত, মৌখিক এবং ব্যবহারিক পরীক্ষায় ওই দিন একশ' ৩৪ জন চালক উত্তীর্ণ হয়। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ চালকদের সনদও দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে বাংলাবাজার ঘাটের ৫৬ জন চালক সনদ পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: বীজ কোম্পানীর প্রতারণায় কপাল পুড়লো দেড়শ চাষির
ঘাট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাংলাবাজার ঘাটে ২৯ টি বোটকে চলাচলের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে। স্পিডবোট চলাচলের ক্ষেত্রে সকল নিয়ম কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে, থাকবে প্রশাসনের নজরদারি।
একাত্তর/আরবিএস