নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ডের নুরুজ্জামান পণ্ডিত ও হাজী আজিজুল হক সড়কে ২০ বছরেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। দীর্ঘ সময়ে রাস্তাটি কাঁচা থাকায় বাসিন্দাদের ভোগান্তির শেষ নেই।
স্থানীয়রা জানান, বর্তমানে রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয় পড়ায় চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন কয়েক হাজার মানুষ। দীর্ঘদিনেও সংস্কারের কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যে সড়কটি পাকা করার জন্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।
এক কিলোমিটারের বেশি দীর্ঘ এই সড়কে প্রতিদিন হাজারো মানুষ যাতায়াত করে। সড়কটি কাঁচা হওয়ায় কেউ অসুস্থ হলে অনেক কষ্ট করে তাকে চিকিৎসাকেন্দ্রে নিতে হয়।
জানা যায়, এই সড়কের আশপাশের চার গ্রামে কয়েক হাজার মানুষের বসবাস। এসব গ্রামের মধ্যে আছে- শান্তিপাড়া, উকিলপাড়া, বিজয়নগর ও সিদ্দিকীয়া বাজার। সড়কটি চরকাঁকড়া ইউনিয়ন ও বসুরহাট পৌরসভার সীমান্ত ঘেঁষা।
স্থানীয় বাসিন্দা মাসুদ আলম বলেন, এই সড়ক পাকা করা এখন সময়ের দাবি। গত বছর সড়কটি পরিদর্শন করেছেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন। তিনি একাধিকবার আশ্বাস দেওয়ার পরও সড়কটি পাকা হয়নি।
মাসুদ আলম আরও বলেন, সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তা দিয়ে যানবাহন তো দূরের কথা হেঁটেও চলাচল করা যায় না। শুকনো মৌসুমেও ভোগান্তির শেষ নেই।
আরেক বাসিন্দা নজরুল ইসলাম বলেন, এই সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে কাঁচা। কেউ অসুস্থ হলে অ্যাম্বুলেন্স আসতে পারে না।
চড়কাঁকড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সফি উল্যা বলেন, সড়কটি পাকা করার জন্য কয়েকবার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কে বা কারা এই সড়কটির নাম কেটে দিচ্ছে। তাই সড়কটি পাকা করা হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: দৌলতদিয়ায় চার কিলোমিটার এলাকায় পণ্যবাহী ট্রাকের সারি
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন জানান, এই রাস্তাটি করে দেওয়ার জন্য আমি উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলীকে বলেছি। আশা করছি, শিগগির রাস্তাটি পাকাকরণের কাজ শুরু হবে।
উপজেলা প্রকৌশলী মো. মাহফুজুল হোসাইন বলেন, কাঁচা সড়ক পাকাকরণের নতুন তালিকা তৈরির কাজ চলছে। খোঁজ নিয়ে ওই সড়কটি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে পাকাকরণে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একাত্তর/এসি