ছাত্রদের চুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার বামনী ইউনিয়নের কাজির দিঘির পাড় আলিম মাদরাসার সহকারী শিক্ষক মঞ্জুরুল কবিরকে আটক করা হয়েছে। ছাত্রদের চুল কেটে দেওয়ার খবরটি একাত্তর অনলাইনসহ দেশের কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে খবরটি প্রকাশের পর বিষয়টি নজরে আসে প্রশাসনের। পরে শুক্রবার (৮ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে বামনী ইউনিয়নের আট নং ওয়ার্ডের কাজির দিঘির পাড়ের তার নিজ বাড়ি থেকে আটক করে পুলিশ।
রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জলিল জানিয়েছেন, আটকের পর তাকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের পক্ষ থেকে থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এদিকে শিক্ষক মঞ্জুরুল কবিরকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হবে বলে জানান কাজির দিঘিরপাড় আলিম মাদরাসার সুপার মাওলানা বরাকাত উল্যা।
আরও পড়ুন: ‘কথা না শোনায়’ ছয় ছাত্রের চুল কেটে দিলেন মাদ্রাসাশিক্ষক
প্রসঙ্গত, গত বুধবার (৬ অক্টোবর) লক্ষ্মীপুরের রায়পুর বামনী ইউনিয়নের হামছাদী কাজির দিঘীরপাড়া আলিম মাদ্রাসায় দশম শ্রেণির ৬ছয় ছাত্রের চুল কেটে দেয় সিনিয়র শিক্ষক মঞ্জুরুল কবির। পরে তারা ক্লাস না করেই মাদরাসা থেকে বেরিয়ে যায়। এরপর ঘটনার একটি ভিডিও শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এতে ছাত্র ও অভিভাবকদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
এদিকে চুল কেটে দেওয়ার কথা স্বীকার করে শিক্ষক মঞ্জুরুল বলেছিলেন, আমি দাখিলের সব ছাত্রকে পরীক্ষার আগের দিন চুল কেটে মাদ্রাসায় আসতে বলেছি। তারা আমার কথা না শোনায় কয়েকজনের চুল কেটে দিয়েছি। যা করা হয়েছে ছাত্রদের ভালোর জন্য করা হয়েছে।
একাত্তর এসি