ঢাকার নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার এলাকায় পাঁচ বছরের এক শিশু কন্যাকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলার প্রধান আসামী নাঈমুর রহমান ওরফে নাঈমকে বরগুনা সদরের ইটবাড়িয়া এলাকায় তৃতীয় শ্রেণীর এক শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (৯ অক্টোবর) বিকেলে নাঈমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার নাঈমুর রহমান বরগুনা সদর উপজেলার কেওড়াবুনিয়া ইউনিয়নের লতাবাড়ীয়া গ্রামের জব্বার হাওলাদারের ছেলে।
বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম জানান, সদরের পাঁচ নং আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের উত্তর ইটবাড়িয়া গ্রামের তৃতীয় শ্রেণীর এক শিশু গোসল করতে পুকুরে যাবার সময় অভিযুক্ত নাঈম ওই শিক্ষার্থীর কাছে তুলাতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কোন দিকে জানতে চায়। অবুঝ শিশু বিদ্যালয়ের পথ দেখাতে স্কুলের সামনে গেলে নাঈম শিশুটির মুখ চেপে বাথরুমে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। শিশুটির চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে শিশুটিকে উদ্ধার করে নাঈমকে আটকে রেখে '৯৯৯' এ ফোন করে জানালে পুলিশ এসে নাঈম কে আটক করে।
আরও পড়ুন: নবম শ্রেণির ছাত্রীকে বিয়ে করতে এসে কারাগারে বর
এরপর নাঈমকে থানায় নিয়ে এসে ওসি নিজেই নাঈমকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করলে নাঈম গত মাসের ২৩ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জে পাঁচ বছরের এক কন্যা শিশুকে ধর্ষণ করে হত্যা করে বলে জানায়। ঢাকার আড়াইহাজার থানায় তার নামে ধর্ষণ ও হত্যা মামলা চলমান বলেও স্বীকার করে। বরগুনার ঘটনায়ও একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানিয়েছেন তরিকুল ইসলাম।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ বিল্লাল হোসেন মুঠোফোনে জানান, নাঈম আড়াইহাজার উপজেলার পুরিন্দা গ্রামের পাঁচ বছরের এক শিশুকে আইসক্রিম খাওয়ানোর কথা বলে ঘরে ডেকে নেয়। এরপর ওই শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করে কাপড় দিয়ে পেঁচিয়ে খাটের নিচে রেখে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ গিয়ে হাত-পা বাঁধা ওই শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করে। তখন থেকেই নাঈমুর রহমান ওরফে নাঈম পলাতক।
তিনি আরও বলেন, আমিসহ নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজার থানা পুলিশের একটি দল বরগুনার উদ্দেশ্যে রওয়ানা করেছি। সকাল ১০টর দিকে বরগুনা পৌঁছে আমরা আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নাঈমকে জিজ্ঞাসাবাদ করবো।