সদ্য ঘোষিত নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলা বিএনপির ৪৯ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটিকে বাতিলের দাবিতে ঝাড়ু-জুতা মিছিল করেছে উপজেলা ও পৌর বিএনপির পদবঞ্চিত ও তৃণমুল নেতাকর্মী। নেতা কর্মীদের অভিযোগ টাকা খেয়ে ঘোষণা করা হয়েছে এই 'পকেট কমিটি'। রোববার (১০ অক্টোবর) বিকেলে কবিরহাট মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ থেকে উপজেলা ও পৌর বিএনপি সহযোগী সংগঠনের কয়েক'শ নেতাকর্মী নোয়াখালী জেলা বিএনপির বিরুদ্ধে এ বিক্ষোভ মিছিল করে। বিক্ষোভ মিছিলটি প্রধান সড়কে আসার পর পুলিশ বাধা দিয়ে তাদের সরিয়ে দেয়। কবিরহাট উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি নাজমুল হুদা ফরহাদ বলেন, যে আহ্বায়ক কমিটি দেওয়া হয়েছে আমরা তার বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানাই। টাকার বিনিময়ে এ আহ্বায়ক কমিটি দেওয়া হয়েছে। এসময় জেলা বিএনপির সভাপতি টাকা খেয়ে এ কমিটি দেয়ায় তাকে কবিরহাটে অবাঞ্চিত ঘোষনা করে অবিলম্বে কমিটি বাতিল না করা হলে লাগাতার কর্মসূচি ঘোষনা করার হুমকি দেন তিনি।
আরও পড়ুন: লটারিতে আড়াই কোটি টাকা জিতলেন বাংলাদেশি
কবিরহাট উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবদুরন রহিম জানান, কবিরহাট উপজেলা বিএনপির মধ্যে কোন দ্বন্দ্ব নেই। বিগত সময় যারা প্রয়াত মওদুদ আহমদের সাথে ছিল না এমন লোকদের হঠাৎ করে আহ্বায়ক কমিটির সদস্য করে কমিটি ঘোষনা করা হয়। আমাদের সাথে কোন পরামর্শ না করে জেলা বিএনপি ও চট্রগ্রাম বিএনপির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম নোয়াখালী-৫ আসনের দুটি উপজেলা ও দুটি পৌরসভা কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাটে বিএনপির আগের কমিটি ভেঙ্গে নতুন কমিটি ঘোষনা করা হয়। উক্ত কমিটি বিলুপ্ত করা না হলে পরবর্তীতে আন্দোলনরত সবার বিএনপি থেকে একযোগে পদত্যাগেরও হুমকি দেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে, জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দারকে মোবাইলে বারবার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। তবে এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সাধার সম্পাদক এডভোকেট আবদুর রহমান জানান, বিএনপি বড় দল। তাই পদ-পদবী না পেলে কারো মনে কষ্ট থাকতে পারে। তারা টাকার বিনিময়ে যে আহ্বায়ক কমিটি দেয়া হয়েছে তা সঠিক নয়। কিছু অবাঞ্চিত লোক এমন মিথ্যা অভিযোগ করছে। দলের ত্যাগী নেতাদের আহ্বায়ক কমিটিতে রাখা হয়েছে এবং আগামী ৯০ দিনের মধ্যে পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠন করা হবে।একাত্তর/টিএ