বাগেরহাটের বিভিন্ন বিলে চলছে জলের ফাঁদ পেতে পাখি ধরা। এতে পাখির পাশাপাশি হুমকিতে বিলের জীববৈচিত্র্য। এ অবস্থায় পাখি রক্ষায় শিগগির কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি বিশেষজ্ঞদের।
চিতলমারী, ফকিরহাট ও মোল্লাহাটের বিশাল এলাকা জুড়ে কোদালিয়া-কালশিরা বিল। জয় খাঁ জলমহল হিসেবে পরিচিত এই বিল বিভিন্ন প্রজাতির পাখির বিচরণক্ষেত্র।
কিন্তু বিষটোপ, জাল ও বিভিন্ন ধরনের ফাঁদ পেতে এসব পাখি ধরছে শিকারিরা। আর এতে তারা ব্যবহার করছে কট আর নাইলনের সুতায় তৈরি ফাঁদ।
এসব ফাঁদ দেখে দূর থেকে মনে হবে বিলজুড়ে বিদ্যুতের লাইন টানা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে চিত্র ভিন্ন। সেসব কোনো বৈদ্যুতিক লাইন নয়। পাখি ধরার জন্য শিকারিদের পাতা ফাঁদ।
পাখি ধরার জন্য বিলে বসানো হয়েছে সোলার প্যানেল ও সাউন্ডবক্স। মোবাইলের সাহায্যে সেই বাজানো হয় বিভিন্ন পাখির ডাক। ওই ডাক শুনে ফাঁদের দিকে ছুটে আসে অন্য পাখির ঝাঁক।
এসব পাখি গোপনে বিক্রি করা হচ্ছে। এলাকার লোকজনের অভিযোগ, শিকারিদের হুমকির মুখে তারা বিলে যেতে পারছেন না।
আরও পড়ুন: দেশের প্রথম বেসরকারি মহাকাশ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিচরণক্ষেত্র ও আবাসস্থল নিরাপদ করা না গেলে পাখির জীবন ও প্রজনন হুমকির মুখে পড়বে।
তারা জানান, এ ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে পাখিদের অস্তিত্ব টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়বে। সুদূর সাইবেরিয়া ও হিমালয় অঞ্চলসহ বিভিন্ন দেশ থেকে অতিথি পাখিরা আশ্রয় ও খাদ্যের সন্ধানে প্রতি বছর শীত মৌসুমে এদেশের হাওর, বিল ও বিভিন্ন জলাশয়ে আশ্রয় নেয়। এসব পাখি পরিবেশেরই একটা অংশ, ফলে এদের হত্যা ও শিকার বন্ধ করা দরকার।
জেলা প্রশাসক আজিজুর রহমান জানান, পাখি শিকারে জড়িতদের বিরুদ্ধে শিগগিরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিল এলাকায় অভিযান চালানোর কথাও জানান তিনি।
মোল্লাহাট-চিতলমারী জয় খাঁ জল মহলের আয়তন ৩৭৬ একর। শীতে মৌসুমে প্রায় ২০০ প্রজাতির পাখি আসে এখানে।
একাত্তর/এসজে