জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে চোর সন্দেহে সবুজ মিয়া (১৩) নামে এক স্কুল পডুয়া শিক্ষার্থীকে খুটির সঙ্গে বেঁধে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় রবিবার রাতে ঐ শিক্ষার্থীর বাবা মুকাজ্জেম মিয়া বাদী হয়ে ঘটনার সাথে জড়িত ৬ জনকে আসামী করে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। শিক্ষার্থী সবুজ উপজেলার দৌলতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর রকিবুল হক বলেন, উপজেলার আওনা ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের মো. মুকাজ্জেম মিয়ার ছেলে সবুজ মিয়া। গত শুক্রবার রাত ১১ টার দিকে বাড়ির পাশে ঝিনুক মিয়া মুদির দোকানে বাড়ির প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে যায় শিক্ষার্থী সবুজ মিয়া। এ সময় দোকানদার ঝিনুক তার ভাই দিলন, দুলাল ও দেদুল ঐ শিক্ষার্থীকে পাশের ধানক্ষেতে ডেকে নেয়।
গত বৃহস্পতিবার রাতে তাদের বাড়িতে চুরি হওয়া ঘটনার সাথে ঐ শিক্ষার্থীকে সন্দেহ করে এলোপাতাড়ি মারধর করতে থাকে। এক পর্যায়ে তারা ঐ শিক্ষার্থীর গলায় পা দিয়ে চেপে ধরে চুরির ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা জোর করে স্বীকার করতে বলে। চুরির ঘটনার সাথে সে জড়িত না বলায় পরে সবুজকে বাড়িতে নিয়ে ঘরের খুটির সাথে বেঁধে ঝিনুক মিয়া দিলন, দুলাল, দেদুল ও তাদের পরিবারের লোকজন হাতুড়ি ও লোহার রড় দিয়ে পিটিয়ে নির্যাতন করতে থাকে।
নির্যাতনের এক পর্যায়ে ঐ শিক্ষার্থী অচেতন হয়ে পড়লে শিক্ষার্থীকে তার বাড়ির উঠোনে ফেলে আসে। অচেতন অবস্থায় পরিবারের লোকজন দেখতে পেয়ে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিতে চাইলে তাতেও তারা বাঁধা দেয়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় ঐ শিক্ষার্থীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় ৬ জনকে আসামী করে থানায় মামলা করা হলেও পুলিশ এখনো কাউকে আটক করেনি।
একাত্তর/ এনএ