টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে সোমাইয়া আক্তার (১৫) নামের এক স্কুলছাত্রীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় একইস্থান থেকে মনির হোসেন (১৯) নামের এক কিশোরকে পেট ও গলাকাটা অবস্থায় উদ্ধার করে টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বুধবার (২৭ অক্টোবর) সকাল পৌনে সাতটার দিকে উপজেলার এলেঙ্গা পৌরসভার শামসুল হক কলেজের পূর্বপাশের একটি ভবন থেকে তাদের উদ্ধার করে পুলিশ।
কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোল্লা আজিজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ।
নিহত সোমাইয়া উপজেলার পালিমা গ্রামের ফেরদৌসের মেয়ে। সে এলেঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। আহত মনির (১৯) উপজেলার মশাজান গ্রামের মেহের আলীর ছেলে। সে পরিবহন শ্রমিক হিসাবে কিছুদিন ধরে কাজ করতো।
এলেঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ নাজমুল করিম বলেন, ‘জানতে পেরেছি আমাদের বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী সোমাইয়ার গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। অন্যের বরাত দিয়ে এই প্রধান শিক্ষক বলেন, "সকালে সোমাইয়া স্থানীয় একটি কোচিংয়ে যাচ্ছিল। এসময় দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যা করেছে।"
আরও পড়ুন: আলাদা সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজন নিহত
ওসি মোল্লা আজিজুর রহমান বলেন, "সকালে স্থানীয় লোকজন কিশোরী ও কিশোরকে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে কিশোরীর লাশ উদ্ধার করা হয়। এসময় ওই কিশোর জীবিত ছিল। পরে তাকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তবে কি কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে বা কে ঘটিয়েছে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।"
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক রাজিব পাল চৌধুরী বলেন, "মনিরের পেট থেকে ভুরি বেরিয়ে পড়েছে। তার গলায় ও ঘাড়ে কাটা আছে। এছাড়াও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত আছে। চিকিৎসা চলছে তবে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন এই চিকিৎসক।