সম্প্রতিকক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘুরে আসা এইকূটনীতিককের উদ্ধৃত করে শনিবার যুক্তরাষ্ট্রদূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতেবলা হয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়শরণার্থী বা রোহিঙ্গা শরণার্থীদেরসহায়তা ও আশ্রয়দানকারী জনগোষ্ঠীরকথা ভুলে যায়নি। শরণার্থীদেরস্বেচ্ছায়, নিরাপদে, মর্যাদার সঙ্গে ও স্থায়ীভাবে ফিরিয়েনেওয়ার লক্ষে সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টির জন্য মিয়ানমারকে উৎসাহিতকরতে আমরা আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোরসঙ্গে অব্যাহতভাবে কাজ করব।
ঢাকায়অস্ট্রেলিয়ার হাই কমিশনার জেরেমিব্রুয়ার ও জাপানি রাষ্ট্রদূতনাওকি ইতোকে নিয়ে ৩ থেকে৪ মার্চ কক্সবাজার সফর করেন মিলার।
সেখানেতারা একটি দুর্যোগ প্রস্তুতিপ্রকল্প, খাদ্য সহায়তা কার্যক্রম, একটি শিক্ষাকেন্দ্র এবংএকটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরিদর্শন করেন এবং স্থানীয়স্বেচ্ছাসেবী স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প ও আশ্রয়দানকারী জনগোষ্ঠীরমধ্যে কোভিড-১৯ মোকাবেলা কার্যক্রমেতাদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন।
২০২০সালের অক্টোবরে রোহিঙ্গা কার্যক্রমের বিষয়ে দাতাদের সম্মেলনের পর এটিই তাদেরপ্রথম সফর। ওই সম্মেলনেআশ্রয়দানকারী জনগোষ্ঠী ও রোহিঙ্গা শরণার্থীদেরজন্য অতিরিক্ত প্রায় ৬০ কোটি ডলারেরত্রাণ তহবিলের সংস্থান হয়েছিল।
২০১৭সালে মিয়ানমারে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেএই সঙ্কট মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সহযোগিতা দিয়ে আসছে।
সেইসময়ে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ও আশ্রয়দানকারী জনগোষ্ঠীরজন্য মানবিক সহায়তা হিসেবে অস্ট্রেলিয়া ২৪ কোটি ডলারেরবেশি অর্থ সহায়তা দিয়েছে,জাপান দিয়েছে ১৪ কোটি ডলারএবং বাংলাদেশের আশ্রয়দানকারী জনগোষ্ঠীসহ ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ১দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারসহায়তা দিয়েছে।
রোহিঙ্গাদেরপ্রত্যাবাসনের লক্ষ্যের পাশাপাশি মিয়ানমারে গণতন্ত্রকামীদের আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে রাষ্ট্রদূত মিলার বলেন, গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর,অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার সকলের মুক্তি এবং সাংবাদিক, আন্দোলনকর্মীও অন্যদের প্রতি আক্রমণ বন্ধে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর প্রতি আহ্বানকারী সকলের প্রতি আমরা জোর সমর্থনজানাচ্ছি। এখন সামরিক বাহিনীকেসর্বোচ্চ সংযম দেখাতে হবেএবং সহিংসতা থেকে বিরত থাকতেহবে।
অস্ট্রেলিয়ারহাই কমিশনার ব্রুয়ার বলেন, বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দানের জন্য বাংলাদেশের প্রতিআমাদের জোরালো সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করতেচাই। কোভিড-১৯ এর ফলেগত বছর এই কক্সবাজারসহসমস্ত জায়গায় অনেক নতুন চ্যালেঞ্জসৃষ্টি হয়েছিল।
সংক্রমণেরহার স্থিতিশীল থাকার পাশাপাশি টিকা কার্যক্রম চালুহওয়ার পরও মানবিক সহায়তাসংস্থাগুলো যাতে রোহিঙ্গা ওআশ্রয়দানকারী জনগোষ্ঠীর জন্য অত্যাবশ্যক সহায়তাদিতে পারে, সেটা নিশ্চিত করতেআমাদেরকে আগের যে কোনসময়ের মতই বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষগুলোরসঙ্গে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতেহবে।
জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো বলেন, বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আমাদের সহায়তার গতি আরো ত্বরান্বিত করা এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা জোরদার করার উদ্দেশ্যে আমরা এই যৌথ মিশনে যুক্ত হয়েছি। কক্সবাজারে মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি রাখাইন রাজ্য থেকে বিতাড়িত জনগোষ্ঠীকে অতিসত্ত্বর ফিরিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে জাপান কাজ করে যাবে।