ঝিনাইদহ পৌরসভার দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ৮৪ লাখ টাকার চেক জালিয়াতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। সাবেক মেয়রের চোখ ফাঁকি দিয়ে এই চক্র ব্যাংক থেকে টাকাও তুলে নিয়েছে।
অভিযোগ পাওয়া গেছে, প্রশাসনিক কমকর্তা আসাদুজ্জামান চাঁন ও সাবেক সচিব আজমল হোসেন মূলত এই চক্রের সঙ্গে জড়িত।
এদিকে, জড়িতদের বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। এলাকার মানবাধিকার কর্মীরা জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।
পৌরসভার নথি অনুযায়ী ২০১১ সালের পহেলা জুন থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত উন্নয়ন ব্যায়ের জন্যে ৯ লাখ ৭৫ হাজার টাকার চেক সই হয়।
কিন্তু ব্যাংক নথি বলছে, পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা আসাদুজ্জামানসহ কয়েকজন সোনালী ব্যাংকের ঝিনাইদহ শাখা থেকে ৮৪ লাখ ৩৩ হাজার টাকা তুলেছেন
নথি অনুযায়ী, আসাদুজ্জামান একাই তুলেছেন ৩১ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। এই কাজে তাকে সহায়তা করেন পৌরসভার আরেক কর্মকর্তা আজমল হোসেন।
তারা মেয়রের চোখ ফাঁকি দিয়ে চেক বইয়ের সামনের কিছু অংশ ফাঁকা রেখে পরবর্তীতে টাকার অংক বসিয়ে নিতেন।
এভাবে বছরের পর বছর জালিয়াতি চক্রটি ৯ লক্ষ ৭৫ হাজার ৬১৬ টাকার কাজের বিপরীতে ৮৪ লক্ষ ৩৩ হাজার ৬৯৮ টাকা উত্তোলন করেন।
তবে, বিষয়টি জানতে পেরে ২০২১ সালে সাবেক মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু, আসাদুজ্জামানকে বদলি ও ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় সরকার বরাবর চিঠি দেন।
পরে স্থানীয় সরকারের ঝিনাইদহের উপ-পরিচালক ইয়ারুল ইসলামকে ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়। তিনি জানান, ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে তদন্ত প্রতিবেদন প্রেরণের সুনির্দিষ্ট তারিখ নেই, তবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
টাকা লেনদেনের কথা স্বীকারও করেছেন সোনালী ব্যাংকের ঝিনাইদহ শাখার ব্যবস্থাপক। তবে জালিয়াতির বিষয়টি অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত আসাদুজ্জামান।
অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর এখনও পৌরসভায় কাজ করে যাচ্ছেন আসাদুজ্জামান। যশোর পৌরসভায় কর্মরত আছেন আরেক অভিযুক্ত আজমল হোসেন।
একাত্তর/এআর