পিতার মৃত্যুর দশদিন পর তার জন্য মন্দিরে পূজা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেলেন চার সন্তান। মৃত্যুর সাথে লড়ছেন আরও চারজন।
মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চকরিয়ার ডুলাহাজরা মালুমঘাট এলাকায় সকাল আটটার দিকে মালুমঘাট খ্রিস্টান মেমোরিয়াল হাসপাতালের আগে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বাবা সুরোজ শীলের মৃত্যুর পর শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য তার মরদেহ যে প্যান্ডেলের নিচে রাখা হয়েছিল, এখনো তা রয়ে গেছে বাড়ির উঠানে। শোক কাটিয়ে না উঠতেই একই প্যান্ডেলের নিচে পরিবারটির চার সন্তানের নিথর দেহ।
ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী ভোরে শ্মশানের কাজ শেষ করে মালুমঘাঁট হাসিনা পাড়া রাস্তার পাশে এসে দাঁড়ায় পরিবারের নয়জন। এই সময় চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার মুখী পিকআপ ভ্যান দ্রুতবেগে এসে সাতজনকে চাপা দেয়।
এতে নিহত হন চকরিয়ার ডুলাহাজরা ইউনিয়নের সগীর শাহ কাটা গ্রামের মৃত সুরুজ চন্দ্র শীলের ছেলে নিরুপম শীল, অনুপম শীল, দীপক শীল ও চম্পক শীল। গুরুতর অবস্থায় মালুমঘাঁট ও চট্টগ্রাম হাসপাতালে ভর্তি করা হয় স্বরণ শীল, রক্তিম শীল, প্লাবণ শীল ও বোন হীরা শীলকে।
আরও পড়ুন: বুধবার থেকে সব আসনে যাত্রী নিয়ে চলবে ট্রেন
কক্সবাজারের চকরিয়ার মালুমঘাট হাইওয়ে থানার পরিদর্শক সাফায়েত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, দ্রুতগামী পিকআপ ভ্যানচাপায় একই পরিবারের চার ভাই নিহত হন।
তিনি জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে যাই। ঘটনাস্থলে চারজন নিহত হয়। এসময় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও পাঁচ জন।
তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হাওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পিকআপ ভ্যানটি জব্দ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে স্বামীর পর পরিবারের উপার্জনক্ষম সন্তানদের হারিয়ে হতবিহবল মা ও স্বজনরা। ডুলাহাজারা ইউপি চেয়ারম্যান হাসানুল ইসলাম আদর জানান, অদক্ষ চালকের অনিয়ন্ত্রিত ড্রাইভিংয়ের কারণে মহাসড়কে প্রাণ হারাচ্ছে মানুষ।
এর আগে, গত সোমবার চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়ায় যাত্রীবাহি বাস, লবণ বোঝাই ট্রাক ও পিকআপের ত্রিমুখী সংঘর্ষে তিনজন যাত্রী নিহত হয়।
একাত্তর/টিএ