দেশের ৮টি বিভাগীয় শহর ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, রংপুর, বরিশাল, খুলনা, সিলেট ও ময়মনসিংহের ১৬০টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ৪ লক্ষ ৭৫ হাজার আবেদনকারীর অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত এ পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয় ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর।
১৭০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের তত্ত্বাবধানে সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যবিধি মেনে করোনাকালে এই বৃহৎ পাবলিক পরীক্ষা অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি গ্রহণ করে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন- পিএসসি। এর আগে পরীক্ষা স্থগিত চেয়ে করা একটি রিট সরাসরি খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট।
মহামারি করোনার বর্তমান পরিস্থিতিকে বিবেচনায় নিয়ে সম্প্রতি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত ১২ দফা নির্দেশনায় বিসিএস পরীক্ষা বন্ধ রাখার প্রস্তাব দেয়া হয়। তবে পিএসসি সর্বদাই সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে পরীক্ষা আয়োজনের ব্যাপারে তাদের প্রস্তুতি গ্রহণপূর্বক সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে।
১৬ মার্চ পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নূর মোহাম্মদ স্বাক্ষরিত ১১ দফা বিশিষ্ট একটি স্বাস্থ্য সুরক্ষা নির্দেশনা প্রকাশ করা হয়। তাতে জানানো হয়, করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি মোকাবিলায় পরীক্ষার সময় মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক, তাপমাত্রা পরীক্ষা করে কেন্দ্রে প্রবেশ, হাত ধোয়া ও স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা, পরিক্ষা কেন্দ্র ও তার আশেপাশে জীবণুনাশক এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ব্যবস্থা করা, পরীক্ষার্থীদের মধ্যে কমপক্ষে ৩ ফুট দূরত্ব নিশ্চিত করে আসনবিন্যাস, কেন্দ্রে অভিভাবক বা যেকোন রকম সমাবেশ পরিহারসহ বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
দেশে ৮ মার্চ ২০২০ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হবার পর সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়, যা এখনো কার্যকর রয়েছে। পাশাপাশি এসময়ে কোন পাবলিক পরীক্ষা গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। পিএসসি, জেএসসি, এসএসসি, এইচএসসি সকল পরীক্ষা স্থগিত করে নতুন পদ্ধতিতে ফলাফল প্রকাশ কিংবা অটোপাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
করোনাকালে দেশের প্রথম পাবলিক পরীক্ষা তাই সরকারি কর্ম কমিশন কর্তৃক আয়োজিত আজকের ৪১ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা, যেখানে প্রায় ৫ লক্ষ পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করলো।