অর্থনীতির বিকাশে সীউইডসহ অন্যান্য সমুদ্রসম্পদের সম্ভাবনা কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, অপ্রচলিত সমুদ্রসম্পদ সীউইড অপ্রচলিত হলেও এর বহু গুণ রয়েছে।
শনিবার কক্সবাজারের একটি হোটেলে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই) আয়োজিত সীউইডজাত পণ্য উৎপাদন ও জনপ্রিয়করণ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
সীউইড সাগরের লবণাক্ত পানিতে জন্মানো এক ধরনের ম্যাক্রোস্কোপিক, বহুকোষী উদ্ভিদ। কক্সবাজার জেলার সেন্টমার্টিন, টেকনাফ, ইনানী, কুতুবদিয়া ও বাঁকখালী নদীর মোহনা এবং পটুয়াখালীর কুয়াকাটাসহ সুন্দরবন উপকূলে শীত মৌসুমে সীউইড সবচেয়ে ভালো জন্মায়।
মন্ত্রী বলেন, ঔষধ, প্রসাধনী ও ভেষজ সামগ্রী এবং পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার তৈরিসহ সীউইডের বহুমুখী ব্যবহারের ব্যাপক সম্ভাবনা আছে। এখন সি ফুডের জন্য আলাদা রেস্তোরাঁ তৈরি হয়েছে। সামুদ্রিক মাছের ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে।
প্রচলিত সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদের পাশাপাশি সীউইডের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সংশ্লিষ্টদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার কথা জানান মন্ত্রী। সীউউইডের বহুমুখী ব্যবহারের সাথে সাথে খাদ্যপণ্য হিসেবে এর স্বাদ ও পরিবেশনের বিষয়টি আলাদাভাবে গুরুত্ব দেয়ার কথাও বলেন তিনি।
মন্ত্রী আরো বলেন, সমুদ্রে নির্গত বর্জ্য সমুদ্রের প্রচলিত ও অপ্রচলিত মৎস্য সম্পদের মাধ্যমে মানবদেহে প্রবেশ করতে পারে। তাই সমুদ্রে বর্জ্য নির্গত হওয়া বন্ধ করা এবং বর্জ্য প্রক্রিয়াজাতকরণে সরকারের উদ্যোগ রয়েছে।
বিএফআরআই এর মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন। বিএফআরআই গবেষণার মাধ্যমে ইতোমধ্যে ২৩ প্রজাতির বাণিজ্যিক সীউইড শনাক্ত করেছে এবং ৬ প্রজাতির বাণিজ্যিক সীউইড চাষ করছে।