ফেসবুকের যে পোস্টকে কেন্দ্র
করে সুনামগঞ্জের শাল্লার নোয়াগাঁওয়ে হিন্দু বাড়িতে হামলা–লুটপাট করা হয়েছে, সেই পোষ্টদাতা ঝুমন দাস বিএনপির সঙ্গে যুক্ত বলে দাবি করেছেন
জেলা পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান।
রোববার সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান। একই সঙ্গে এই ঘটনায় করা মামলার অভিযোগপত্র স্বল্পতম সময়ের মধ্যে দেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে মিজানুর রহমান বলেন, নোয়াগাঁও গ্রামের ঝুমন দাস বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। তিনি শাল্লা উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। ঝুমনকে আটকের পর ১৭ মার্চ কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়েছে, ঝুমন দাসের ফেসুবক পোস্টের জেরেই দিরাই ও শাল্লার কয়েকটি গ্রামের কয়েক শ মুসলিম মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে মঙ্গলবার রাত আটটার দিকে জড়ো হন। তারা মিছিল করে, স্লোগান দিয়ে প্রতিবাদ জানান। এই খবর পেয়ে শাল্লা থানার পুলিশ সেখানে যায় এবং ঝুমন দাসকে আটক করে। দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার আশ্বাস দিলে উত্তেজিত জনতা শান্ত হয়ে ফিরে যায়। তবে, পুলিশ যখন পশ্চিম দিক সামলাতে ব্যস্ত, তখন পূর্ব দিক থেকে অল্প কয়েকজন ঢুকে গ্রামে হামলাটি চালায়।
এ ঘটনায় থানায় দুটি মামলা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৩৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে শনিবার রাতে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।