দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার খ্যাত রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ায় নদী পার হতে ফেরির অপেক্ষায় দীর্ঘ সিরিয়ালে আটকা পড়েছে অসংখ্য ছোট বড় যানবাহন। ফরিদপুর বিশ্ব জাকের মঞ্জিলের ওরশ ফেরত শত শত বাসসহ অন্যান্য যানবাহন এক যোগে আসায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, ফরিদপুরের আটরশি বিশ্ব জাকের মঞ্জিলের তিন দিনের ওরশ শেষ হয়েছে মঙ্গলবার (১ মার্চ) ভোরে। আখেরি মোনাজাত শেষে একযোগে ফিরতে শুরু করেছে শত শত যানবাহন। নিয়মিত গাড়ির পাশাপাশি ওরশ ফেরত এ সকল গাড়ির চাপে গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় মঙ্গলবার বিকেল থেকে যানবাহনের দীর্ঘ সারি তৈরি হয়। মহাসড়কে আটকা পড়েছে অসংখ্য যানবাহন। এর মধ্যে পণ্যবাহী গাড়ির সংখ্যা ও কম নয়।
বিআইডব্লিউটিসি ও ঘাট সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সূত্র জানায়, আটরশির বার্ষিক ওরশে, ঢাকা, মুন্সীগঞ্জ, ময়মনসিংহ, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, মানিকগঞ্জসহ এ অঞ্চলের অসংখ্য ভক্ত শতশত বাস ও ব্যক্তিগত গাড়িযোগে অংশ নিয়ে ফিরে যাওয়ার পাশাপাশি পণ্যবাহী ট্রাকের চাপও রয়েছে। এসব কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় যানবাহনের দীর্ঘ সারি সৃষ্টি হচ্ছে।
সরজমিন দেখা যায়, দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোয়ালন্দ পদ্মার মোড় পর্যন্ত অন্তত ৫ কিলোমিটারজুড়ে যানবাহনের দীর্ঘ সারি তৈরি হয়েছে।
আটকে পরা গ্রীন বাংলা পরিবহনের চালক গৌতম কুমার সরকার বলেন, আটরশির ওরশ শেষে এক সাথে সকল পরিবহন ঘাটে এসে পড়ায় যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। আমি বেলা ১২ টার দিকে ঘাটে এসে দীর্ঘ যানজটে আটকে আছি। কখন ফেরির নাগাল পাব বলতে পারছি না।
হবিগঞ্জগামী ওরশ ফেরত বাস চালক জুলহাস হোসেন বলেন, বেশ কয়েক ঘন্টা দৌলতদিয়া ঘাটে এসে সিরিয়ালে আটকে আছি। কখন নদী পাড় হবো, কখন পৌছাব জানি না। আটকে থাকা মুসুল্লিরা অনেক ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাস: ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত কমলেও বেড়েছে মৃত্যু
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) শিহাব উদ্দিন বলেন, মঙ্গলবার সকাল থেকেই ওরশ ফেরত গাড়ির চাপ থাকায় পণ্যবাহী গাড়ি ও ওরশ ফেরত গাড়ির সিরিয়াল তৈরি হয়েছে। তবে দুর্ভোগ কমাতে যাত্রীবাহী গাড়িগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে পারাপার করা হচ্ছে। বর্তমানে এ নৌপথে ছোট-বড় মিলিয়ে ১৯টি ফেরি চলাচল করছে। রাতে গাড়ির চাপ কমে যাবে বলে আশা করছি।
একাত্তর/এসএ