স্বাধীনতা দিবসে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতায় বায়তুল মোকাররম এলাকায় বিক্ষোভের সময় সংঘর্ষ, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৫০০ থেকে ৬০০ জন ‘অজ্ঞাতপরিচয়’ আসামির বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।
সোমবার (২৯ মার্চ) সকালে পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক এই তথ্য জানান।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, সেদিন জুমার নামাজের ফরজ নামাজ শেষে ‘কিছু মুসল্লি জুতা প্রদর্শন’ করলে আরেকদল তাতে বাধা দেয়। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়।
সংঘর্ষের এক পর্যায়ে তারা মসজিদের বাইরে চলে আসে এবং সহিংসতায় রূপ নেয়। এই সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ পরে ফাঁকা গুলি ও টিয়ারশেল ছোড়ে।
সেদিন হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা জুমার নামাজের পর চট্টগ্রামের হাটহাজারিতে থানা ও বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা করলে সংঘর্ষে চারজন নিহত হন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরেও ব্যাপক তাণ্ডব চালায় কওমি মাদ্রাসার ছাত্ররা। তারা রেলওয়ে স্টেশনসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করে।
পরদিন শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে মাদ্রাসাছাত্ররা ফের আইনশঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘাতে জড়ায়, সেখানে অন্তত পাঁচজন নিহত হন।
রোববার হেফাজতের ডাকে সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘাত-সহিংসতা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে হেফাজতকর্মীরা। পুলিশ ও বিজিবির সঙ্গে তাদের দফায় দফায় সংঘর্ষে অন্তত দুই জন নিহত হন।