নেত্রকোনার দুর্গাপুরে বাবার কাছে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ৯ বছরের এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থী শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
রোববার (৬ মার্চ) রাতে গুরুতর আহত অবস্থায় শিশুটিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি শিশুটির পরিবার।
এর আগে বিকেলের দিকে পৌর শহরের বুরুঙ্গা এলাকায় কুমড়া ক্ষেতে নিয়ে শিশুটিকে নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ করেন তারা।
ভুক্তভোগী ওই শিশু পৌর শহরের বুরুঙ্গার স্থানীয় একটি মাদ্রাসার নূরানী বিভাগের শিক্ষার্থী। গত তিন মাস ধরে নিয়মিত মাদ্রাসায় যাতায়াত করছিলো সে।
এদিকে অভিযুক্ত ধর্ষক পৌর শহরের মার্কাজ এলাকার বাসিন্দা শামছুল মিয়া বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে শিশুটি ।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, গতকাল বিকেলে শিশুটি মাদ্রাসা থেকে ফিরে মাঠেই সহপাঠীদের সাথে খেলাধুলার এক এক পর্যায়ে বাবার কথা শিশুটিকে ডেকে নিয়ে যান শামছুল মিয়া।
আরও পড়ুন: থানায় নারীকে নির্যাতনকারী সেই নারী পুলিশ প্রত্যাহার
এরপর তিনি কুমড়া বাগানে নিয়ে শিশুটিকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। শিশুটি ঘটনাস্থল থেকে পালানোর চেষ্টা করলে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করেন তিনি।
এদিকে বিকেল পার হয়ে সন্ধ্যা হলেও মেয়ে বাড়ি না ফেরায় মেয়েকে খুঁজতে বের হন মা। বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে কুমড়া ক্ষেতের পাশ থেকে মেয়েকে উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে যান।
পরে শিশুটির কাছে কি হয়েছে জানতে চাইলে ধর্ষণের কথা বলেই কান্না করতে করতে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায় সে। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. শ্রীকান্ত কর্মকার জানান, ৯ বছরের এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। তার অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল।
দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর মাহবুবুর রহমান জানান, শিশু ধর্ষণের শিকার হওয়ার বিষয়টি পুলিশের নজরে এসেছে। অভিযুক্তকে আইনের আওতায় আনতে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
একাত্তর/এসজে