নাটোরের লালপুরে আপন চাচীর সঙ্গে সম্পর্কের জেরে প্রাণ দিতে হয়েছে যুবক জুয়েলকে। শুক্রবার দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি করেছেন নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা।
পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বলেন, লালপুরের দিলালপুরে গত ৩ মার্চ মাঠের মধ্যে থেকে হাত-পায়ের রগ কাটা ও কুপিয়ে জখম করা জুয়েল নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে আসামী সেলিনাকে আটক করে পুলিশ।
সেলিনার জবানবন্দি অনুযায়ী পুলিশ জানতে পারে জুয়েলের সাথে পরকীয়ার সম্পর্ক জানাজানি হলে তাকে যোগাযোগ রাখতে নিষেধ করে চাচী সেলিনা এবং সেলিনার সৎ ছেলে মেহেদি হাসান। কিন্তু নিষেধ অমান্য করেও বারবার সেলিনার বাড়িতে আসতে থাকে জুয়েল। এতেই ক্ষিপ্ত হয় সেলিনা, সৎ ছেলে মেহেদি হাসান এবং সেলিনার অপর প্রেমিক মেহেদি হাসান লিটন।
পরে সেলিনা খাতুন, তার সৎ ছেলে মেহেদি হাসান এবং আরেক প্রেমিক মেহেদী হাসান লিটন মিলে জুয়েলকে হত্যার পরিকল্পনা করে মোবাইলে ডেকে নেয় সেলিনা। পরে সেলিনা যৌন উত্তেজক বলে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দেয় জুয়েলকে। এরপর জুয়েল নেতিয়ে পড়লে তাকে বাড়ির পাশে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হাত পায়ের রগ কেটে হত্যা চেষ্ঠা করে।
কিন্তু তাতেও জুয়েলের মৃত্যু না হওয়ায় পরে সকালে জুয়েলকে লালপুর উপজেলা হাসপাতালে নেয় এলাকার লোকজন। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় জুয়েল।
গত ৪ মার্চ জুয়েলের বাবা সাকেম প্রামাণিক অজ্ঞাত আসামীদের নামে লালপুর থানায় মামলা করেন। আসামিদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ আদালতে সোপর্দ করেছে। আসামী সেলিনা খাতুন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন বলেও দাবি করেন পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা।