ছেলেকে নিয়ে বাড়ির গেটে বসে আছেন অসহায় স্ত্রী। যৌতুকের দাবীতে নির্যাতনের শিকার হয়ে আদালতে মামলার আবেদন করায় ক্ষিপ্ত হয়ে এমন কাজ করেছেন স্বামী।
যদিও আদালত মামলাটি আমলে না নিয়ে তদন্ত করতে দিয়েছেন আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও আদালতের পিপিকে। কারণ যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি একজন আইনজীবী।
শনিবার (১২ মার্চ) ঘটনাটি ঘটেছে বরগুনা পৌর শহরের কলেজিয়েট বিদ্যালয় সড়কে। ভুক্তভোগী ওই নারী কলেজিয়েট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা (৫৫)।
অভিযুক্ত স্বামী জামায়াত ইসলামের নেতা ও জেলা ও দায়রা জজ আদালতের একজন আইনজীবী।
ভুক্তভোগী ওই শিক্ষিকা জানান, তার স্বামী এ পর্যন্ত সাতটি বিয়ে করেছেন। একাধিকবার নির্যাতনের পরও নানান কষ্টের মধ্যে সন্তানদের মুখের দিকে তাকিয়ে স্বামীর ঘর ছাড়েননি তিনি।
এরপর তার বেতনের টাকা স্বামী চাইলে তাও দিয়ে দেন তিনি। কিন্তু সব শেষ তাতেও মেলেনি শান্তি।
প্রতিনিয়ত মারধর করে ঘর থেকে বের করে দিতে চাইলে প্রথমে পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ দিলে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেন পুলিশ। পুলিশের কাছে অভিযোগ দেয়ায় আরও ক্ষিপ্ত হয়ে বাড়িয়ে দেন নির্যাতনের মাত্রা।
এরপর আদালতে যৌতুকের দাবীতে নির্যাতনের মামলার আবেদন করলে মামলা গ্রহণ না করে তদন্তের নির্দেশ দেন আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাডভোকেট নান্না ও জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি এ্যাডভোকেট ভুবন চন্দ্রকে।
আরও পড়ুন: বেড়াতে গিয়ে খালে পড়ে শিশুর মৃত্যু
এতে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে শনিবার সকালে স্ত্রী ও সন্তানকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে বাড়িতে তালা মেরে দেন।
এ বিষয়ে বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. মেহেদী হাছান জানান, ঘর থেকে বের করে দেয়ার বিষয়ে '৯৯৯' এ ফোন করার পরে আমি পুলিশ পাঠিয়েছি। আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
একাত্তর/এসজে