সাভারে দখল ও দূষণের অভিযোগ উঠেছে সাভার ও ধামরাইয়ের বেশ কয়েকজন জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে। বংশী নদী গিলে খেয়ে সেখানে গড়ে তোলা হচ্ছে নানা ধরনের অবকাঠামো।
দখলের শিকারের হচ্ছে সরকারের খাস জমিও। দখল করা জমিতে ইট ভাটাসহ নানা ধরেনর অবকাঠামো নির্মাণ করেছেন দখলদাররা। কোন ভাবেই তাদের থামানো যাচ্ছে না।
এলাকার লোকজন বলছেন, হাইকোর্টের নির্দেশের পরও তাদের উচ্ছেদ করতে পারছে না প্রশাসন। তবে প্রশাসনের দাবি, তালিকা ধরেই উচ্ছেদ করা হচ্ছে।
সাভারের বনগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে খাস জমি দখল করে জলাধার ভরাটের অভিযোগ দীর্ঘ দিনের।
অভিযোগ রয়েছে পাথালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান পারভেজ দেওয়ান হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে বংশী নদী দখল করে নয়ারহাট এলাকায় অবকাঠামো নির্মাণ করছেন।
এছাড়া তার বিরুদ্ধে ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালি তোলার অভিযোগও রয়েছে। সাইফুল কিছু অভিযোগ স্বীকার করলেও পারভেজ দেওয়ান তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ অসত্য বলে দাবি করেন।
ধামরাইয়ের ১৬টি ইউনিয়নে ২১৬টি ইট ভাটার রয়েছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি ইটভাটার মালিক এ উপজেলার বেশ কয়েকজন চেয়ারম্যান ও মেম্বার। আর প্রতিটি ইটভাটাই জমি দখল করে নির্মাণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
পরিবেশ আন্দোলনের নেতারা বলছেন, অবৈধ ইটভাটা যারই হোক না কেন সবার বিরুদ্ধেই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া উচিত।
তবে পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জহিরুল ইসলাম জানান, লিখিত অভিযোগ ছাড়া তারা কারো বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে পারেন না।
একাত্তরের অনুসন্ধান বলছে, নান্নার ইউনিয়নে দুবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান আলতাব হোসেন, সুতিপাড়া চেয়ারম্যান রেজাইল করিম রাজা, সানোড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খালেদ মাসুদ খান লাল্টু, বালিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মজিবর রহমান ও কুল্লা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাজী লুৎফর রহমান ইট ভাটার মালিক।