সারাদেশের সব মানুষকে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় নিয়ে আসার ঘোষণা দিতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবারই আসছে সেই ঘোষণা।
বিদ্যুতায়ন হয়েছে সব শহর, গ্রাম, চর, দুর্গম পাহাড়ি এলাকা। স্বাধীনতার পর ২০০৯ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের জনগোষ্ঠীর ৪৭ শতাংশ বিদ্যুতের সুবিধা পেয়েছিল।
এরপর গত এক যুগে বাকি ৫৩ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎসংযোগের আওতায় এসেছে। এজন্য দেশে একের পর এক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করেছে সরকার।
প্রতিশ্রুতি পূরণের অংশ হিসেবে সাগর কুলে গড়ে ওঠা পটুয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ রাঙ্গাবালিতে সাব মেরিনক্যাবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সুবিধা নেয়া হয়েছে।
বিদ্যুৎ পেয়ে বদলে গেছে এলাকার চিত্র। এই অঞ্চলের মানুষও এক সময় বিশ্বাস করতে চাননি যে, তারা বিদ্যুৎ পাবেন।
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালি উপজেলার বেশিরভাগ শিশু ছয় মাস আগেই রাত আটটার মধ্যে ঘুমিয়ে যেতো। কিন্তু এখন তাদের জীবনের গল্পটা বদলে গেছে।
আর সেটা বদলে দিয়েছে বিদ্যুৎ। অন্ধকারে ডুবে থাকা বিচ্ছিন্ন দীপ রাঙ্গাবালিরই ২৫ হাজার পরিবারের শিশুরা এখন রাত জেগে পড়া লেখা করতে পারেন।
নদী নালার বাংলাদেশে সবার ঘরে বিদ্যুতের আলো পৌঁছে দেয়ার অঙ্গীকার পূরণের সহজ ছিলো না। যেখানে কোনোভাবেই টাওয়ার বসানো যায়নি, সেখানে দেয়া হয়েছে সাবমেরিন ক্যাবল।
পটুয়াখালিতে তেতুলিয়া ও বুড়ো গৌরাঙ্গ নদীর তলদেশ দিয়ে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়া হয়েছে ছয়টি ইউনিয়নের ১০৪টি গ্রামের মানুষের কাছে।
শুধু রাঙ্গাবালির এই ছয় ইউনিয়ন নয়, দেশের যে গ্রাম বা অঞ্চলের মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা বঞ্চিত ছিলো, সেখানেই দেয়া হয়েছে বিদ্যুৎ।
আরও পড়ুন: পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে সাশ্রয় ৮০০ কোটি টাকা
নতুন করে বিদ্যুৎ পাওয়া অঞ্চলগুলো হঠাৎ করেই লেগেছে উন্নয়নের ছোঁয়া। আলো ঝলমল নগরের চেহারা পেয়েছে বিদ্যুৎ পাওয়া জনপথগুলো।
যেসব জায়গায় সরাসরি বিদ্যুৎ দিতে পারেনি, পাহাড়ের দুর্গম এলাকাগুলোতে দেয়া হয়েছে বিনামূল্যের সৌর বিদ্যুৎ।
এর মাধ্যমে বাংলাদেশ মানুষের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে সক্ষম হলো।
দ্রষ্টব্য: এ প্রতিবেদনে ‘এসবের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ প্রথম শতভাগ মানুষকে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছে’- এমন তথ্য ফ্যাক্ট চেকের নজরে এলে একাত্তর এ নিয়ে আরও অনুসন্ধান করে। পরে অনিচ্ছাকৃত এই ভুলের জন্য প্রতিবেদন থেকে তথ্যটি সরিয়ে নেয়।
একাত্তর/আরএ