ভোলার মূল ভূ-খন্ড থেকে বিচ্ছন্ন মদনপুর ও কাচিয়া ইউনিয়নের মাঝের চরের মানুষ গত সাত মাস আগে পেয়েছে পল্লী বিদ্যুতের আলো। আর এতে করে তাদের জীবন যতোটা পাল্টেছে ঠিক ততটাই বিদ্যুতের উপর নির্ভর হয়ে পড়ে এই চরবাসী।
কিন্তু বিদ্যুতের সেই সুবিধা তা বেশী দিন ভোগ করতে পারেননি তারা। টানা গত ৪০ দিন ধরে সেখানে বিদ্যুৎ নেই। সাবমেরিন ক্যাবল বিচ্ছিন্ন হয়ে লাইনে ত্রুটি দেখা দেয়ায় বিদ্যুৎ বিহীন অবস্থায় রয়েছেন সেখানকার অন্তত ৯টি গ্রামে ৭’শ ৪১ পরিবার। আর এতে করে অন্ধকারে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন তারা।
এমনকি প্রচন্ড গরমে দুর্ভোগ যেন তাদের নিত্যসঙ্গী। মেঘনা নদীর তলদেশে সাবমেরিন ক্যাবল লাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে ত্রুটির কারণেই মূলত তাদের এই ভোগান্তি।
ভুক্তভোগীরা বলছেন, দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর চরের মানুষ বিদ্যুতের সুবিধা পেলেও সেই আগের মতই তাদের বিদ্যুৎবিহীন অন্ধকারে দিন কাঁটাতে হচ্ছে। একটানা বিদ্যুৎ না থাকায় তাদের ঘরে থাকা ফ্রিজসহ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে প্রয়োজনীয় সব পণ্য। ফলে চরম ক্ষোভ আর অসন্তোশ চরবাসীর মাঝে।
ভোলা বাংলবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মো. আলতাপ হোসেন বলছেন, মেঘনা নদীর তলদেশে ১৩০ ফুট গভীরে সাড়ে ৩ কিলোমিটার সাব মেরিন ক্যাবল টানা হয়েছিলো। কিন্তু নদীর উপর দিয়ে জাহাজসহ বিভিন্ন নৌ যান চলাচল করায় সাব মেরিন ক্যাবল বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বলে ধারনা করছে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ।
তিনি আরও বলেন, একটি এক্সপার্ট টিম সরেজমিন পরিদর্শন করেছে। তারা ঢাকায় গিয়ে রির্পোট করবে। এদিকে নদী অশান্ত থাকায় মেরামত কাজের ব্যাঘাত হচ্ছে। ত্রুটি মেরামতের জন্য ৩টি ডুবরি দল দিয়ে মেরামতের চেষ্টা করা হলেও তা সফল হয়নি। কবে নাগাদ বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হবে তা নিয়েও রয়েছে অনিশ্চয়তা। তবে দ্রুত স্থায়ী সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ।
‘শতভাগ বিদ্যুতায়ন প্রকল্পের আওতায়’ গত বছরের ৫ ডিসেম্বর ১৫ কোটি টাকা ব্যায়ে ভোলা সদরের তুলাতলী থেকে মদনপুর ও মাঝের চরে ১১ কেভির বিদ্যুৎসংযোগ দেয় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি।
একাত্তর/ এনএ