পটুয়াখালীর পায়রা সমুদ্র বন্দরের ফেয়ারওয়ে বয়ার কাছে দু'টি মাছ ধরা ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় ১৯ জেলেকে উদ্ধার করা গেলেও নিখোঁজ রয়েছেন সিরাজ মুন্সী নামে এক বাবুর্চি।
সোমবার দিবাগত রাত একটার দিকে ট্রলার ডুবির ঘটে। সাগর উত্তাল থাকায় টলার উল্টে ডুবে যায় বলে ভুক্তভোগীরা জানান। উদ্ধারকৃতদের মধ্যে অসুস্থ ট্রলারমালিক আনোয়ার খানকে কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
উদ্ধার হওয়া জেলে, মৎস্যজীবী সমিতি ও মহিপুর থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পায়রা সমুদ্র বন্দরের ফেয়ারওয়ে বয়ার কাছে মাছ ধরছিল বেশ কয়েকটি ফিশিং বোট। রাত একটার দিকে এফবি আনোয়ার নামে একটি মাছ ধরার ট্রলার আট জেলেসহ ঢেউয়ের তোড়ে উল্টে ডুবে যায়।
এতে ট্রলারমালিক আনোয়ার খানসহ সাতজন অন্য ট্রলারের জেলেদের সহায়তায় উদ্ধার হলেও নিখোঁজ হন বাবুর্চি সিরাজ মুন্সি। তার বাড়ি রাঙ্গাবালীর মৌডুবী এলাকায়। নিখোঁজ ব্যক্তির সন্ধান এখন পর্যন্ত মিলেনি। ডুবে যাওয়া ট্রলারটির মালিকের বাড়িও একই এলাকার। এই ঘটনায় আহত ট্রলার মালিক আনোয়ারকে কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে একই স্থানে একই সময়ে ১২ জন জেলেসহ নামবিহীন অপর একটি ট্রলার ডুবে যায়। তাদেরকে সাগর থেকে অপর দুটি ট্রলারের জেলেরা উদ্ধার করে আজ সকালে মহিপুর মৎস্য বন্দরের নিয়ে আসে।
ডুবে যাওয়া এই ট্রলারের মালিক সুলতান কবিরাজ দুপুরে মহিপুর থানায় একটি জিডি করেছেন। তার বাড়ি রাঙ্গাবালীর বাহেরচর এলাকায়।
আরও পড়ুন: চীনের হামলা ঠেকাতে সামরিক মহড়ায় তাইওয়ান
মহিপুর বন্দর মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মাসুম বেপারী জানান, সাগর উত্তাল থাকায় ঢেউয়ের কবলে পড়ে প্রাথমিকভাবে দুটি ট্রলার ডুবির ঘটনা শুনেছি। আরও দুর্ঘটনার শঙ্কা ররেছে। এ ব্যাপারে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।
মহিপুর থানার ওসি খন্দকার আবুল খায়ের জানান, আমাদের কাছে একটি ট্রলার ডুবির জিডি করা হয়েছে। আরও একটা টলার ডুবির ঘটনা শুনতে পাচ্ছি।
উল্লেখ্য, উত্তর বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়ায় সাগর উত্তাল রয়েছে। বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও অনেক জেলে সাগরে মাছ ধরতে যাচ্ছেন।
একাত্তর/আরবিএস