জোয়ারের পানিতে দুইদিন ধরে প্লাবিত হচ্ছে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার লালুয়া ও চস্পাপুর ইউনিয়নের ১০টি গ্রাম। পায়রা সমুদ্র বন্দর সংলগ্ন রাবনাবাদ নদী তীরবর্তী চাড়িপাড়া ও দেবপুর বেড়িবাঁধের প্রায় আট কিলোমিটার অংশ ভেঙে থাকায় তলিয়ে রয়েছে ১০ গ্রামের রাস্তাঘাট ও ফসলি জমি।
বুধবার সকালের জোয়ারে একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি উঠে যায় এবং চলাচলের রাস্তা তলিয়ে বিভিন্ন পয়েন্ট ভেঙে যাওয়ায় শিক্ষার্থীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে পারেনি। এছাড়া শতশত বাড়িতে হাঁটু সমান পানি উঠে গেছে। এতে চরম বিপাকে পড়েছে হাজারেরও বেশি পরিবার। এ কারণে অধিকাংশ পরিবার বুধবার রান্নাও করতে পারেনি।
কলাপাড়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির জানান, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পানিবন্দী এলাকার ক্ষয়ক্ষতির তালিকা করা হচ্ছে। বিষয়টি জেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে।
লঘুচাপের প্রভাবে কলাপাড়ার পায়রা বন্দরে তিন নম্বর সতর্কতা সংকেত বহাল থাকায় গত দু'দিন ধরে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। উত্তাল রয়েছে বঙ্গোপসাগর। এ কারণে শতশত মাছ ধরা ট্রলার কলাপাড়ার বিভিন্ন নদী মোহনা ও পোতাশ্রয়ে নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার বৃষ্টিপাত ও পূর্ণিমার কারণে নদী এবং সাগরে জোয়ারের পানির উচ্চতা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
এদিকে তিন দিন অতিবাহিত হলেও কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে ট্রলার ডুবিতে নিখোঁজ জেলে সেরাজ মৃন্সী ও সিদ্দিকের খোঁজ মেলেনি।
আরও পড়ুন: সুইস ব্যাংকে নির্দিষ্ট করে কারো তথ্য চায়নি বাংলাদেশ
কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোন কর্মকর্তা লে: কমান্ডার সৈয়দ তৈমুর পাশা জানান, সাগরে ট্রলার ডুবিতে নিখোঁজ জেলেদের সন্ধানে তারা জলযান নিয়ে বিভিন্ন মোহনায় টহল অব্যাহত রেখেছে।
বুধবার পাথরঘাটা সাগর মোহনা থেকে জেলেবিহীন মা বাবার দোয়া নামে একটি ভাসমান ট্রলার উদ্ধার করা হয়। এ ট্রলারের জেলেদের কলাপাড়ার জেলেরা উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
একাত্তর/আরবিএস