পটুয়াখালীর বাউফলে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন স্থানীয় যুবদল নেতা ও অন্যজন কৃষকদল নেতা।
শনিবার (২৭ আগস্ট) বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে সদর উপজেলার লেহালিয়া ইদ্রাকপুর মাদরাসা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, বাউফলের সূর্যমনি ইউনিয়নের নুরানইপুর গ্রামের মৃত হাফিজুর রহমান মৃধার ছেলে ইলিয়াস হোসেন বাবলু ও কালিশুরী ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামের সেকান্দার আলী সরদারের ছেলে এলমাস সরদার। বাবলু কালিশুরী ইউনিয়ন কৃষকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক এবং এলমাস সূর্যমনি ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব বলে নিশ্চিত করেছেন জেলার দলীয় নেতৃবৃন্দ।
নিহতদের স্বজন, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিকেল আনুমানিক সোয়া পাঁচটার দিকে মোটরসাইকেল যোগে বাবলু ও এলমাস বাউফল থেকে পটুয়াখালী আসার পথে লোহালিয়া খেয়াঘাটের আগে ইদ্রাকপুর আমিনিয়া দাখিল মাদ্রাসার সামনে সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে যান তারা। এতে মাথায় ও মুখে আঘাত পান তারা। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেণ।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত ডাক্তার শায়লা আক্তার জানান, হাসপাতালে আনার আগেই পথে তাদের মৃত্যু হয়। তাদের পালস ও প্রেসার ছিলনা। উভয়ের মাথায় ও মুখে আঘাত রয়েছে, তবে বাবলুর মাথার খুলি ফেটে ঘিলু বের হয়ে গেছিল।
নিহত এলমাসের ভাই শামীম সরদার জানান, ব্যক্তিগত কাজে তার ভাই পটুয়াখালী আসছিলেন, পথে দুর্ঘটনায় তিনি মারা যান।
আরও পড়ুন: বিশ্বে প্রথম কৃত্রিম ভ্রূণ তৈরি করলেন কেমব্রিজের বিজ্ঞানীরা
লোহালিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কবির হোসেন তালুকদার জানান, বিকেলে ইদ্রাকপুর মাদ্রাসার সামনে দুর্ঘটনা ঘটে, খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে ওই দুই জনকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করি। পরে জানতে পারি একজন ঘটনাস্থলেই এবং অপরজন খেয়া নৌকায় মারা গেছেন।
পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জানান, দ্রুতগতিতে অপর একটি গাড়িকে অতিক্রম করার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওই দুই যুবক দুর্ঘটনায় পতিত হয়ে মারা যান। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে।
এদিকে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে জেলা বিএনপি, যুবদল, কৃষক দলের নেতাকর্মীরা হাসপাতালে ভিড় জমায়।
একাত্তর/আরবিএস