পঞ্চগড়ে মর্মান্তিক নৌকাডুবির ঘটনায় নিহত ও নিখোঁজ ব্যক্তিদের ৭২টি পরিবারের বাড়িতে দুর্গাপূজার নেই কোন আনন্দ উৎসব। নিকটতম স্বজন হারানোর কষ্ট ও বেদনা নিয়ে পূজার দিনগুলো পার করছেন নিহতদের পরিবারের সদস্যরা।
কেবল স্বজনরাই নয়, তাদের প্রতিবেশি ও ভক্তরাও কষ্ট বেদনা নিয়ে নীরবেই পূজা উৎসব পালন করছেন। জেলার প্রত্যেকটি মণ্ডপে টাঙ্গানো হয়েছে শোকবার্তা।
পঞ্চগড়ে বোদা উপজেলার মাড়েয়া আওলিয়া ঘাটে গত ২৫ সেপ্টেম্বর নৌকাডুবির ঘটনায় নিহত হন ৬৯ জন। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন আরও তিনজন। তবে এর মধ্যে বোদা উপজেলায় নিহতদের সংখ্যা প্রায় অর্ধশত।
পূজা উৎসবে এই ৭২টি পরিবারের মাঝে এখনও পড়ে আছে শোকের ছায়া। স্বজন হারানোর বেদনা আর চোখের জল এখন তাদের নিত্যদিনের সঙ্গী। সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা আনন্দের পরিবর্তে এখন বিষাদে পরিণত হয়েছে।
কেবল স্বজনহারা পরিবারেই নয়, প্রতিবেশিসহ ভক্তরাও দুর্গাপূজা উৎসবে বেদনার ঝুলি নিয়ে পূজা মণ্ডপে প্রতিমা দেখতে আসছেন। পূজা অর্চনা আর দেবী দুর্গার প্রতি শ্রদ্ধাভক্তি দিয়ে নিজেদেরে মঙ্গল আর নিহতদের স্বর্গবাসের জন্য প্রার্থনা করছেন ভক্তবৃন্দরা।
জেলায় এবার ২৯৫টি মণ্ডপে অনাড়ম্বরভাবে দুর্গাপূজা উদযাপন করা হবে। প্রতিটি মণ্ডপে মণ্ডপে টাঙ্গানো হয়েছে নিহতদের শোকবার্তা।
আর ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত কালো ব্যাজ ব্যাবহার করে পূজা উদযাপন করার আহবান করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের বোদা উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক রাজা রাজীব ঘোষ।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ছুরিকাঘাতে বৃদ্ধ খুন
নিহতদের স্বজনরা জানান, দুর্গাপূজার আগেই নৌকাডুবিতে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা নিহত হওয়ায় দুর্গা উৎসবে কারও মধ্যে নেই আনন্দ। শুধু দেবী দর্শন আর পূজা অর্চনার মধ্যে নীরবে উৎসব পালন করা হচ্ছে
এদিকে, পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, জেলার প্রতিটি মণ্ডপে পূজা উদযাপনে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সার্বিক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
একাত্তর/এসজে