নওগাঁর রাণীনগরে যৌতুকের দাবিতে এক গৃহবধূকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে।
বুধবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার ছাতারদিঘী গ্রামে নিজ বাড়ির পাশে একটি গাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতের নাম রিয়া মুনি (১৯)। পরিবারের অভিযোগ, যৌতুকের দাবিতে রিয়া মুনিকে হত্যা করা হয়েছে।
এদিকে, এ ঘটনার পর থেকে ওই গৃহবধূর স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছেন।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা রুবেল আলী বাদী হয়ে রিয়ার স্বামী মিলন মিয়া, শ্বশুর নুর মোহাম্মদ, শাশুড়ি মনিকা, ননদ আঙ্গুর, নন্দা ও জাসহ এজাহারনামীয় সাতজনকে ও অজ্ঞাত ৫-৬ জনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, দুই বছর আগে উপজেলার একডালা ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের রুবেল আলীর মেয়ে রিয়া মুনির বিয়ে হয় ছাতারদিঘী উত্তরপাড়া গ্রামের নুর মোহাম্মদের ছেলে মিলন মিয়ার (২৫) সাথে।
বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে দুই লাখ টাকাসহ অন্যান্য জিনিসপত্র দেয়া হয়। এর কিছুদিন পর থেকে রিয়ার শ্বশুরবাড়িতে পারিবারিক কলহ চলছিলো।
এজাহারে আরও বলা হয়, যৌতুকের দাবিতে মাঝেমধ্যেই রিয়াকে তার স্বামী মিলনসহ শ্বশুর, শাশুড়ি এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজন নির্যাতন করতেন। কয়েকবার পারিবারিকভাবে এর মীমাংসাও করা হয়।
মঙ্গলবার রাতে যৌতুককে কেন্দ্র করে রিয়ার সাথে তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের ঝগড়া হয়। এরই জের ধরে শ্বশুরবাড়ির লোকজন রিয়াকে মারপিট করেন ও দড়ি দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করে বাড়ির পাশে একটি গাছের ডালের সাথে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখেন বলে এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে।
রিয়ার বাবা রুবেল আলী অভিযোগ করে বলেন, যৌতুকের অর্থ না পেয়ে তার মেয়েকে তার স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন হত্যা করেছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তির অভিযোগে নারী গ্রেপ্তার
রাণীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, গৃহবধূ রিয়ার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের শরীরের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
ওসি আরও জানান, মঙ্গলবার রাত থেকেই গৃহবধূ রিয়ার স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়িসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক থাকায় তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। দ্রুত তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।
একাত্তর/এসজে