ট্রিপল মার্ডারের অভিযুক্ত এএসআই সৌমেন কুমার রায় কুষ্টিয়ার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। সোমবার দুপুরে অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তিনি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি নিশিকান্ত সাহা জবানবন্দি প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জবানবন্দি শেষে বিচারক সৌমেনকে কারাগারে পাঠানোর নিদের্শ দেন।
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) ফরহাদ হোসেন খান জানান, সৌমেনর বিরুদ্ধে দুটি হত্যা মামলা করা হয়েছে।
তদন্ত কর্মকর্তা জানান, আদালতে সৌমেন নিজেকে নিহত আসমার স্বামী বলে দাবি করেন। তিনি জানান যে তিনি আসমাকে দুবছর আগে বিয়ে করেন।
উল্লেখ্য রোববার (১৩ জুন) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে শহরের কাস্টমস অফিসের সামনে সৌমেন প্রকাশ্য গুলি করে হত্যা করে তিন জনকে। নিহতরা হলেন আসমা খাতুন, তার সাত বছরের ছেলে রবিন ও শাকিল হোসেন। সৌমেন রায় খুলনার ফুলতলা থানায় কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি মাগুরা জেলায়।
নিহত শাকিলের বাবা মেজবার রহমান সৌমেনকে আসামি করে গতকাল রাতে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা করেছেন। আরেকটি মামলা করেন আসমার মা হাসিনা খাতুন। দুটি মামলাতেই সৌমেনকে একমাত্র আসামি করা হয়েছে।
সোমবার (১৪ জুন) দুপুর ১টা ১০ মিনিটে কুষ্টিয়া পুলিশ লাইনের ডিবি কার্যালয় থেকে একটি মাইক্রোবাসে করে এএসআই সৌমেনকে কুষ্টিয়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নিয়ে আসা হয়। এসময় সৌমেনের মাথায় হেলমেট ও হাতে হাতকড়া পরানো ছিল।
সৌমেন আদালতে স্বেচ্ছায় ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আলাদাভাবে রিমান্ডের আবেদন করেননি।
আরও পড়ুন: হাতের কাছেই কী অমরত্ব, কী বলছেন বিজ্ঞানীরা?
এই ট্রিপল মার্ডারের ঘটনায় খুলনা রেঞ্জ থেকে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। খুলনা রেঞ্জের দুজন পুলিশ কর্মকর্তাসহ কুষ্টিয়ায় এক পুলিশ কর্মকর্তাকে তদন্ত কমিটির সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে। ঘটনার পর পরই সৌমেন রায়কে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
কুষ্টিয়া পুলিশ সূত্র জানায়, সৌমেন রায় ২০১৫ সালে কনস্টেবল থেকে এএসআই পদে উন্নীত হন। পরে ২০১৬ সালে কুষ্টিয়ার কুমারখালী থানায় যোগ দেন। সেখান থেকে জেলার অন্যান্য থানায়ও কর্মরত ছিলেন। সর্বশেষ মিরপুর থানার হালসা ক্যাম্পে ছিলেন। এরপর বাগেরহাট হয়ে খুলনা ফুলতলা থানায় যোগ দেন।
একাত্তর/এআর