ঢাকার দোহার উপজেলার দক্ষিণ শিমুলিয়া এলাকায় একটি পরিত্যাক্ত ইটভাটায় ১৪ বছর বয়সী প্রতিবন্ধী কিশোরীকে দলবেধে ধর্ষণের ঘটনায় আসামীদের আটক করেছে পুলিশ। আসামিদের ধরতে কখনও রিক্সা চালক, কখনও ফেরিওয়ালা সেজে ৫ আসামিকে খুঁজে বের করে দোহার থানা পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রথম দিকে প্রতিবন্ধী কিশোরীর সাথে মোবাইলে পরিচয়ের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে রাজিব নামে এক দিনমজুর। গত ৯ মে দুপুর ১২টার দিকে কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দক্ষিণ শিমুলিয়ায় একটি পরিত্যক্ত ইটভাটায় ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে রাজিব ও সহযোগী মুজিবুর রহমান, ফারুক, মামুন ও সোবাহান ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। পরে কিশোরীর চিৎকার শুনে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে।
আরও পড়ুন: দেড় মাসে করোনায় সর্বোচ্চ মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ৩৮৪০
এ ঘটনায় কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে দোহার থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোস্তফা কামাল জানান, তার নির্দেশে পুলিশ সদস্যরা রিক্সাচালক ও ফেরিওয়ালার ছদ্মবেশ ধারণ করে ফরিদপুর, মুন্সিগঞ্জ ও দোহারের বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে ৫ আসামিকে গ্রেপ্তার করেন।
আসামিরা সবাই দোহারের বিভিন্ন স্থানে দিনমজুরের কাজ করতো। আসামিরা হলো- ফরিদপুরের বাসিন্দা মুজিবুর (৩০), তার ছোট ভাই ফারুক (২৫), তাদের ভাগ্নে রাজিব (২০), কুড়িগ্রামের বাসিন্দা মামুন (১৯) এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাসিন্দা সোবাহান (৩০)।
দোহার থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল বলেন, কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় পুলিশের অভিযানে পাঁচ আসামি গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়। তারা সবাই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে।
একাত্তর/এসজে