ফরিদপুর সদরের কানাইপুরে বাস ও পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১৪ জন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও অনেকে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
মঙ্গলবার সকালে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের কানাইপুরে অ্যাবলুম ক্যাফেটেরিয়ার সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম বলেন, ইউনিক পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ঢাকা থেকে সাতক্ষীরা যাচ্ছিল। সকাল ৮টায় কানাইপুরের দিকনগর এলাকায় পৌঁছালে পিকআপের সাথে বাসটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে পিকআপে থাকা ১১ যাত্রী ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। পরে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, দুর্ঘটনার সময় ওই পিকআপে ১৭জন যাত্রী ছিলেন। ঘটনার খবর পেয়ে ফরিদপুর হাইওয়ে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস এবং পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার কাজ শুরু করে।
এদিকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুইজনের এবং ঢাকায় নেবার পথে আরও একজন মারা যান। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৪ জন দাঁড়িয়েছে।
নিহতরা হলেন, বোয়ালমারী শেখর ইউনিয়নের ছত্রকান্দা গ্রাম রাকিব হোসেন মিলন (৪২), তার স্ত্রী সামিমা ইসলাম সুমি (২৫), তাদের বড় ছেলে আলভী রোহান (৭), ছোট ছেলে আলফাডাঙ্গা মডেল স্কুলের শিক্ষার্থী আবু সিনান (৪) এবং প্রতিবেশী মৃত আব্দুল ওহাবের স্ত্রী মর্জিনা বেগম (৭০), পিকআপ চালক আলফাডাঙ্গা পৌরসভার কুসুমদি গ্রামের নজরুল মোল্ল্যা (৩৫), আলফাডাঙ্গা সদর ইউনিয়নের বেজিডাঙ্গা গ্রামের জানাহারা বেগম (৫০), ভাতিজি প্রবাসীর স্ত্রী সোনিয়া বেগম (৩০), সোনিয়ার ১১ মাস বয়সী শিশু সন্তান নুরানী, সদর ইউনিয়নের চরবাকাইল গ্রামের তবি খান (৫৫), হিদাডাঙ্গা গ্রামের হিদাডাঙ্গা গ্রামের শুকুরন বেগম (৯০), তার মেয়ে মনিরা বেগম সূর্য (৫৫), প্রতিবেশী কহিনুর বেগম (৬০) এবং মো. ইব্রাহীম।
এ ঘটনায় পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। আগামী তিনদিনের মধ্যে এ কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার জানিয়েছেন, নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা এবং আহতদের প্রত্যেককে তিন লাখ টাকা করে সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হবে।