মানুষ হরহামেশাই অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনার শিকার হোন। এসব দুর্ঘটনার মধ্যে এমন কিছু ঘটনা ঘটে যায় যখন তা তা সবাইকে অবাক করে, বিষ্মিতও করে। এই যেমনটি ঘটেছে চাঁদপুর জেলার এক যুবকের বেলায়। কাঠ, রড, কাঁটা কিংবা গাছের ডাল নয়, এই যুবকের পায়ুপথে ঢুকে গেছে আস্ত একটি ডাব! সেই ডাবের আকার আবার এক-দুই ইঞ্চি নয়, পুরো ছয় ইঞ্চি!
এমন খবরে যেমন যুবকের স্বজনরা তাজ্জব বনে গেছেন, তেমনি খবরটি প্রচারের পর বিষ্ময়ে চোখে কপালে তুলেছেন অনেকে, সবার একটাই প্রশ্ন- এও কি সম্ভব? আরও বিস্ময়কর বিষয় হলো, পায়ু পথে ঢুকে যাওয়া সেই ডাব বের করা হয়েছে রীতিমতো অস্ত্রপচার করে। হাস্যকর হলেও এমন ঘটনাই ঘটেছে চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি জেলার টামটা দক্ষিণ ইউনিয়নে।
গেলো শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নারকেল গাছের মরা ডাল কাটতে গাছে উঠেছিলেন ওই ব্যক্তি। তার সাথে তখন আর ছিলেন না কেউই। গাছে ওঠার কিছুক্ষণ পরেই তিনি ডাল ছিড়ে গাছ থেকে পুকুরে পড়ে যান। এরপরই তীব্র যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকেন।
এরপর তড়িঘড়ি করে তাকে চাঁদপুরের শাহরাস্তি এলাকার ম্যডিল্যাব হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রোগীর অবস্থা দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা ও এক্সরে করান । এক্সরের রির্পোট দেখেতো চিকিৎসকদের চক্ষু চড়কগাছ! ডাবটি বেশ বড় আকারের বলে দেখতে পান সেই হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক আরিফ উল হাসান।
তিনি জানান, যে কোনো কারণে হোক, ওই রোগীর মলদ্বার দিয়ে ডাবটি ঢুকে যায়। এ দৃশ্য দেখে চিন্তায় পড়ে যান তারা। জানিয়ে দেন যে, অস্ত্রোপচার ছাড়া কোনও ভাবেই ডাবটি বের করা সম্ভব নয়। পরে তারা এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে ডাবটি বের করে আনেন।
এ বিষয়ে রোগীর স্বজন শেখ ফরিদ জানান, অপারেশনের পরে বের হওয়া ডাবের আকার দেখে তাজ্জব বনে গেছেন তিনিসহ অন্যরা। তবে কীভাবে ডাবট পায়ুপথে প্রবেশ করল সে বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি তিনি। তার মতোই এই ঘটনা নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলতে চাননি রোগীর স্বজনেরা।
যুবকের পায়ুপথ থেকে ছয় ইঞ্চি ডাব বের করার খবরে দেশজুড়ে ব্যাপক বিষ্ময়ের সঙ্গে হাস্যরসও তৈরি হয়। এই প্রতিবেদন তৈরি করার সময় ওই রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এখন অনেক সুস্থ আছেন। চিকিৎসকরা বলছেন, এই ঘটনায় তারাও অনেক অবাক হয়েছে।