পুলিশি বাধার মুখে চট্টগ্রামের টাইগার পাসে অবস্থান নিতে পারেনি কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ও চবি অধিভুক্ত কলেজের শিক্ষার্থীরা। এসময় তাদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নগরীর বটতলী রেল স্টেশন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আন্দোলনকারীরা বটতলী রেল স্টেশন থেকে মিছিল নিয়ে টাইগার পাসের দিকে অগ্রসর হলে এক পর্যায়ে চারদিক থেকে ব্যারিকেড দিয়ে তাদের ঘেরাও করে পুলিশ। এসময় বাধা ঠেলে সামনে এগিয়ে যেতে চাইলে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে।
টাইগার পাসে অবস্থান নিতে না পেরে আন্দোলনকারীরা ছোট ছোট মিছিল নিয়ে নগরীর ২ নম্বর গেইট এলাকায় আবারও অবস্থান নেয়। শিক্ষার্থীরা মিছিলে পুলিশি বাধায় ক্ষোভ প্রকাশ করে শ্লোগান দেয়।
আন্দোলনকারীরা জানান, কোটা সংস্কারের একদফা দাবি মেনে না নেয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে জানান।
এর আগে দুপুর আড়াইটার দিকে বটতলী রেল স্টেশনে রেলপথ অবরোধ করতে গেলে সেখান থেকে তাদের সরিয়ে দেয় পুলিশ।
কোটা সংস্কার ও মেধাভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করে ২০১৮ সালের পরিপত্র জারি করে সরকার। গত ৫ জুন সেই পরিপত্রের আংশিক অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্ট। এর ফলে সরকারি চাকরিতে আগের কোটা পদ্ধতি ফিরে আসে।
এরপরই হাইকোর্টের আদেশ বাতিল এবং ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। গত রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টসহ, দেশের বিভিন্ন মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ করছেন তারা। এতে তীব্র ভোগান্তিতে পড়ছেন সাধারণ মানুষ।
এরইমধ্যে বুধবার হাইকোর্টের আদেশে এক মাসের স্থিতাবস্থা দিয়েছে আপিল বিভাগ। এই সময়ে সরকারি চাকরিতে কোটা থাকবে না। কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদেরও ক্লাসে ফিরতে বলেছেন প্রধান বিচারপতি।
কিন্তু এসবের কিছুই মানতে নারাজ শিক্ষার্থীরা। ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে তারা আগের মতোই অবরোধ-কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন।
কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীরা এখন নতুন দাবি তুলেছেন যে, আদালত নয়, সরকারের নির্বাহী বিভাগ থেকে সুস্পষ্ট ঘোষণা আসতে হবে।