নদী ভাঙনে বাপ-দাদার ঘর বাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব ঢাকার কেরাণীগঞ্জের চারটি
ইউনিয়নের কয়েক হাজার পরিবার। বর্ষা এলেই নদী ভাঙনের আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটে এখানকার
মানুষের।
কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগের পরেও মেলেনি কোন স্থায়ী সমাধান। সবপক্ষ বিভিন্ন ধরনের আশ্বাসের কথা শুনিয়েই তাদের দায়িত্ব শেষ করছেন।
প্রতিদিনই ভাঙছে ধলেশ্বরী ও কালীগঙ্গা নদীর পাড়। তাই এরিমধ্যে ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে উপজেলার হজরতপুর, তারানগর, রুহিতপুর ও কলাতিয়া ইউনিয়নের খাড়াকান্দি, ভেন্ডিঘাট ও রুহিপুর আবাসন এলাকা।
এছাড়া ভাঙন হুমকিতে আছে খাড়াকান্দি, ভেন্ডিঘাট, রুহিপুর আবাসন, মুগারচরসহ আরো চারটি গ্রাম।
এলাকাবাসী বলছেন, অবৈধ বালু উত্তোলন ও অতিরিক্ত ড্রেজিংয়ের কারণে প্রতি বছর বর্ষায় ভাঙন শুরু হয়। আর এতে কয়েকশ বাড়ি, শতশত বিঘা ফসলিজমি ও মসজিদসহ বহু অবকাঠামো বিলীন হয়েছে।
বিভিন্ন সময় সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা বেড়িবাঁধ নির্মাণের আশ্বাস দিলেও আজও মেলেনি স্থায়ী কোন পদক্ষেপ। তাই নিজেদের অর্থায়নেই বালির বস্তা ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা চলছে।
তবে আশার কথা শোনালেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি। কেরাণীগঞ্জ উপজেলার চেয়ারম্যান শাহিন আহমেদ জানালেন, ২০২২ সালের মধ্যে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ হবে।
একাত্তর/এআর