এক রাতের নোটিশে শিল্প-কারখানা খুলে দেয়ায় স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব উপেক্ষা করে লক্ষ্মীপুর-ভোলা নৌরুটে লঞ্চ ও ফেরিতে ঢাকা-চট্টগ্রামে যাচ্ছেন কর্মজীবি মানুষ। করোনা সংক্রমণ মোকাবেলায় চলমান কঠোর বিধিনিষেধের ৯ম দিনে শহরমুখী যাত্রীদের ঘিরেই দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম প্রবেশদ্বার লক্ষ্মীপুরের মজুচৌধুরীরহাটের ফেরিঘাট।
ফেরিঘাটে কোনো যানজট না থাকলেও সারাদিনই ভেঙ্গে ভেঙ্গে আসা যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় বাড়ছে সেখানে। আগের দিনের মতো রোববারও (১ অগাস্ট) সকাল থেকে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব উপেক্ষা করে যাত্রীবাহী বাস ও ছোট ছোট পরিবহনে গাদাগাদি করে ঢাকা-চট্টগ্রামে যাচ্ছেন কর্মজীবি মানুষ।
ভোলা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়া শ্রমজীবি নারী সেলিনা বেগম একাত্তরকে জানান, তিনি গত শনিবার ঢাকার উদ্দেশ্যে যেতে পারেন নাই। তিনি ভোলা থেকে রওনা হয়েছেন, যাবেন ঢাকায়। রোববার সকালে তার সাথে কর্মস্থল ঢাকা যাচ্ছেন আরো ৪/৫ জন সহকর্মী। বাধ্য হয়ে তাকে ভোলা-লক্ষ্মীপুর সি ট্রাক খিজির -৮ এ করে লক্ষ্মীপুর মজুচৌধুরীর হাট আসতে হয়েছে। এসে দেখেন যাত্রীদের জিম্মি করে লক্ষ্মীপুর-থেকে ঢাকাগামী কয়েকটি পরিবহন সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে দ্বিগুণ হারে বাস ভাড়া আদায় করছেন। বাধ্য হয়েই তিনি স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব উপেক্ষা ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা করছেন।
আরও পড়ুন: এক সপ্তাহে এক কোটি টিকা দেয়া হবে: স্বাস্থ্য মন্ত্রী
গার্মেন্টস কর্মী নুর নাহার বেগম একাত্তরকে জানান, ভোলা থেকে তারা লঞ্চযোগে মজুচৌধুরীর ঘাট হয়ে লক্ষ্মীপুরে এসে পৌছাঁন। পর্যাপ্ত পরিমাণে যানবাহন না থাকায় ঘন্টার পর ঘন্টা বাসের টিকেট এর জন্য অপেক্ষা করছেন তিনি।
লক্ষ্মীপুর মজুচৌধুরীর ঘাট ইজারাদার মোঃ ইসমাইল হোসেন জানান, এই ঘাটে ঢাকা ও চট্টগ্রামমুখী যাত্রীদের চাপ অনেকটাই বেশি। তবে ঘাটে যাত্রীর তুলনায় গণপরিবহনের সংকট থাকায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাসের জন্য অপেক্ষা করে স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে ঢাকা, চট্টগ্রাম রওনা হচ্ছেন অনেকে। তাছাড়া গণপরিবহন গুলো উপর সরকারি নজরদারি না থাকায় অতিরিক্ত যাত্রী ভাড়া নিচ্ছেন তারা।
একাত্তর/এসএ