তৈরী পোষাক কারখানা খুলে দেয়া দেয়ায় গার্মেন্টস কর্মীদের কর্মস্থলে ফেরার সুবিদার্থে সরকার একদিনের জন্য লকডাউন শিথিল করে গণপরিবহন চালুর ঘোসনা দেয়ায় আজ (১ আগষ্ট) অনেকেই কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে ছুটেছেন। পটুয়াখালীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লঞ্চ ও সড়ক পথে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে গেছেন।
সড়ক পথে যারা ভেঙ্গে ভেঙ্গে গেছেন তাদের অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। সকাল পর্যন্তও অনিশ্চিত ছিলো পটুয়াখালী থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে লঞ্চ ছেড়ে যাবে কিনা! সকালে লঞ্চ টার্মিনালে এসে ফেরত যান অনেক যাত্রী। সরকারের সিদ্ধান্ত ছিলো বেলা ১২ টা পর্যন্ত লঞ্চ ছাড়া হবে। কিন্তু পটুয়াখালী নদী বন্দরে নোঙ্গর করা চারটি লঞ্চ এমভি সুন্দরবন-১৪, কাজল-৭, কুয়াকাটা-১ ও এ,আর, খান-১ চারটি লঞ্চের বেশিরভাগ স্টাফ ছিল ছুটিতে।
হটাৎ করে গতকাল রাতের সিদ্ধান্তে লঞ্চ চলাচল অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। আজ বেলা ১১ টায় পটুয়াখালী নদী বন্দর কর্মকর্তা মহিউদ্দিন খানের সাথে লঞ্চ স্টাফদের আলোচনার পর বিকেলে দুটি লঞ্চ ছাড়ার সিদ্ধান্ত হয়। এবং এমভি কুয়াকাটা-১ ও এ,আর, খান-১ লঞ্চকে যাত্রী পরিবহনের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়। পরে মাইকিং ও ফেসবুকের মাধ্যমে লঞ্চ ছাড়ার ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে যাত্রীরা ঘাটে আসতে শুরু করে।
বিকেল চারটায় দুটি লঞ্চ যাত্রীপূর্ণ হলে এমভি-কাজল-৭ লঞ্চও ছাড়ার সিদ্ধান্ত হয়। এর পরে বিকেল পাঁচটা থেকে ছয়টার মধ্যে তিনটি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
আরও পড়ুনঃ ঘাটে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়, ভাড়া পৌঁছেছে নাগালের বাহিরে
এ ব্যাপারে লঞ্চ চালকরা জানান, এ সিদ্ধান্তটা কাল রাতে বা ভোরেনিশ্চিত করা হল আরো যাত্রী যেতে পারতো। তবে লঞ্চে আসা যাত্রীদের বেশিরভাগই গার্মেন্টস কর্মী ও খেটে খাওয়া মানুষ। তারা আজ ঢাকা যেতে পারায় খুশি। তবে লঞ্চে করোনার সুরক্ষা স্বাস্থ্যবিধি মানেননি অনেকেই। সামাজিক দুরত্ব ও মাস্ক ব্যবহার করতে দেখা যায়নি অনেককে।
পটুয়াখালী নদী বন্দর কর্মকর্তা জানান, লঞ্চের লোকবল কম থাকা সত্বেও সরকারী ঘোসনা ও গার্মেন্টস কর্মী যাত্রীদের কথা বিবেচনা করে ঢাকার উদ্দেশ্যে তিনটি লঞ্চ ছাড়া হয়েছে। বেলা ১২ টায় লঞ্চ ছাড়লে যাত্রী ছাড়াই খালী লঞ্চ যেতে হত, তাই বিকেল পর্যন্ত তাদের সময় দেয়া হয়েছে।
একাত্তর/এসএ