ঘর বিক্রির হাট। শুনতে একটু অন্যরকম মনে হলেও এমন হাট রয়েছে মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ে। জেলার বিভিন্ন এলাকায় টিন ও কাঠের বিশেষ ঘর চোখে পড়ে। সহজে সরিয়ে নেয়ার সুবিধার জন্যে এই এলাকায় টিন ও কাঠের ঘর বেশি তৈরি হয় সেখানে। তাছাড়া এসব ঘর পুরোনো হবার পর বিক্রি করলেও প্রায় কেনার সমান টাকা পাওয়া যায়।
তাই এই ঘর তৈরি এবং বিক্রি এই এলাকার একটি জনপ্রিয় ব্যবসা হয়ে উঠেছে। রীতিমতো সম্পূর্ণ তৈরি ঘর বিক্রির জন্য তৈরি হয়েছে হাটও। লৌহজংয়ে কাঠ চেরাইয়ের শব্দ এখন দিনরাত শুনতে পাওয়া যায়। নিবিষ্ট মনে কাজ করে চলেছেন কাঠমিস্ত্রি এবং ও তাদের সহযোগীরা।
বাচালু, নাইজেরিয়া, শাল, সেগুন, ওকান ও লোহা জাতীয় কাঠের নানা আকার। এর সাথে জুড়ে দেয়া হচ্ছে ভালো মানের ‘অরিজিনাল প্লেন শিট ও ঢেউ টিন। তৈরি হচ্ছে ঘর। মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার কাটাখালী, হাতিমারা, টঙ্গিবাড়ির পাইকপাড়া, বেতকা, সিরাজদিখানের মালখানগর এলাকায় চলছে এই ধরনের ঘর তৈরির কাজ।
তৈরি হচ্ছে নানা কারুকার্যে সাজানো 'ঐতিহ্যবাহী' নতুন নতুন দোচালা, তিন চালা, চৌচালা, সাত চালা টিনকাঠের আস্ত ঘর। বিক্রি হচ্ছে মুন্সীগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। একেকটি ঘরের দাম দুই থেকে ৩০ লাখ পর্যন্ত হয়ে থাকে। আর এগুলো তৈরিতে মজুরি ৩৫ থেকে ৬০ হাজার টাকা। বিশেষ ধরনের ঘর তৈরির জন্য নানা জায়গা থেকে এসে কাজ করে কারিগররা।
লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বলেন, এই শিল্পকে আরো সমৃদ্ধ করতে যথাযথ ঊদ্যোগ নেয়া হবে। পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এই অঞ্চলের টিন-কাঠের ঘর নির্মাণ, শিল্প ও ঐতিহ্যের মর্যাদা পেতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
একাত্তর/ এনএ