নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার পূর্ব একলাশপুরে দাউদ ইব্রাহিম নামে একটি এতিমখানা ও নূরানি মাদ্রাসায় খাদ্যে বিষক্রিয়ায় অসুস্থ অবস্থায় ১৮ শিক্ষার্থীকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে আনা হলে নুর হামিদ নিশন (৯) নামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
অন্য ১৭ জনকে হয়েছে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন শিক্ষার্থীর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। নিহত নুর হামিদ নিশান পূর্ব একলাশপুর এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে।
প্রতিদিনের মত শিক্ষার্থীরা সোমবার (২ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টায় রাতের খাওয়া শেষ করে ঘুমাতে যায়। এর প্রায় আধা ঘণ্টা পর অর্থাৎ রাত এগারোটায় একে একে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়লে রাত ১২টায় অসুস্থ শিক্ষার্থীদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
হাসপাতালে আনার পর নিশনকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
আরও পড়ুন: সুচ ঢুকিয়েও টিকা না দেওয়ার সত্যতা পেয়েছে টাঙ্গাইলের স্বাস্থ্য বিভাগ
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ: কামরুজ্জান শিকদার জানান, লক-ডাউনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশনা থাকলেও, নূরানি মাদ্রাসা ও হেফজখানার পাশাপাশি এটি একটি এতিমখানা। পিতৃমাতৃহীন এতিম শিশুদের যাওয়ার কোন জায়গায় নেই তারা বিধায় মাদ্রাসায় থাকছে এবং পড়াশুনা করছে।
তিনি আরো জানান, এতিমখানায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা মোট ১৩৫ থেকে ১৪০ জন, তবে বর্তমানে প্রায় ৩৫ জন এতিমখানায় অবস্থান করছে। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। খাবারের সাথে কোন বিষাক্ত পদার্থ মেশানো হয়েছে কিনা তা তদন্ত করতে বাকী খাবার পরীক্ষার জন্যে জব্দ করা হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক সৈয়দ মহিউদ্দিন আনোয়ারুল আজিম জানান, রাতে ১৮ জন শিশু শিক্ষার্থীকে খাদ্যে বিষক্রিয়াজনিত কারণে নিয়ে আসলে ১ জনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। ১৭ জনকে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, এদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে তিনি জানিয়েছে।
নোয়াখালী জেলা প্রশাসক মোঃ: খোরশেদ আলম খান রাতে শিক্ষার্থীদের দেখতে হাসপাতাল পরিদর্শন করেন।
একাত্তর/এসজে