গাজীপুরে দিন দিন ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। নগরের টঙ্গীর মাছিমপুর, আউচপাড়া, বোর্ডবাজারসহ বিভিন্ন এলাকার লোকজন আক্রান্ত হচ্ছেন ডেঙ্গুতে। আক্রান্তদের মধ্যে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন দুজন। আর টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১৭ জন।
এই অবস্থায় গাজিপুরে বিভিন্ন হাসপাতালে খোলা হয়েছে আলাদা ডেঙ্গু ইউনিট। এরপরও এডিস মশার লার্ভা ধ্বংস করতে রয়েছে ঢিলেঢালা ভাব। অবশ্য গাজীপুর সিটি করপোরেশন শুরু করেছে ডেঙ্গু নিধন কর্মসূচি। সিটি মেয়র বলছেন, করোনার উর্ধ্বগতির সময়ে ডেঙ্গু থেকে নগরবাসীকে সুরক্ষার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টায় রয়েছেন তারা।
সিটির ৫৭টি ওয়ার্ড এলাকায় ইউরোপ থেকে আনা উচ্চ কার্যকরী ৩০০ মেট্রিক টন ওষুধ ছিটানোর প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছেন, ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হওয়ার পরই শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে ২০ শয্যার ডেঙ্গু ইউনিট খোলা হয়েছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মাধ্যমে তাদের বিশেষ নজরে রেখে চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে।
এদিকে, এলাকাবাসী মনে করছেন, ভয়াবহ অবস্থার দিকেই যাচ্ছে ডেঙ্গু পরিস্থিতি। আর জোরালো পদক্ষেপ নিয়ে এখনই এর লাগাম টেনে ধরা দরকার।
তবে, ডেঙ্গু শনাক্ত হওয়ার পরপরই নড়েচড়ে বসেছে সিটি কর্পোরেশন। এরই মধ্যে এই সিটিতে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন ওয়ার্ডে ওষুধ ছিটানো শুরু হয়েছে। রাজধানীর পাশের এই নগরবাসীকে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ডেঙ্গু মুক্ত রাখতে ব্যাপক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন সিটি মেয়র।
এই জেলায় এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন ২৬ জন। সিটি কর্পোরেশন এলাকায় এডিস মশা নিধনে ওষুধ ছিটাতে নারী কাউন্সিলর এবং ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের সমন্বয়ে ৭৬ টিম কাজ করছে। তবে আয়তনের দিক থেকে দেশের সবচেয়ে বড় এই সিটি বাসীর আরও সচেতন হওয়ার পাশাপাশি পরিষ্কার পরিছন্নতা প্রয়োজন। প্রয়োজন বিভিন্ন এলাকায় থাকা লার্ভা ধ্বংস করার জোরালো কার্যক্রম।
একাত্তর/ এনএ